কোন থানা অভিযোগ নেবে? তা নিয়ে দড়ি টানাটানির জের। ১৬ ঘণ্টার ওপর শ্মশানেই পড়ে রইল দেহ। এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার জগদ্দলে। এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে শেষপর্যন্ত আজ দুপুরে শ্মশানে যায় পুলিস। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে একজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়েক মাস আগে পরিচারিকার কাজ করতে দিল্লিতে যান জগদ্দলের টুম্পা বিশ্বাস। মঙ্গলবার রাতে আচমকা তাঁর দেহ অ্যাম্বুলেন্সে এসে পৌঁছয় বাড়িতে। যে বাড়িতে তিনি কাজ করতেন তাদের দাবি, জন্ডিস হয়েছিল টুম্পার। যদিও না কোনও ডেথ সার্টিফিকেট, না হাসপাতালের কাগজ-কিছুই দিতে পারেননি তাঁরা। ক্ষুব্ধ পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে টুম্পাকে। তাঁদের অভিযোগের আঙুল এলাকারই এক মহিলার দিকে। মিতা চক্রবর্তী ওরফে মানু নামে ওই মহিলাই টুম্পাকে দিল্লিতে কাজের ব্যবস্থা করে দেন। পরিবারের অভিযোগ, আসলে দিল্লিতে দেহব্যবসা চালাতেন মিতা। টুম্পা রাজি না হওয়ায় খুন করা হয়েছে তাঁকে।


মৃতার পরিবার প্রথমে জগদ্দল, পরে নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও FIR নেওয়া হয়নি। দুটি থানাই দিল্লি পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে মৃতার পরিবারকে।  এদিকে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া দেহ সত্‍কার করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে মঙ্গলবার রাত রাত থেকে দেহ পড়ে ছিল শ্মশানেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে অবশেষে বুধবার দুপুরে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মিতা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।