নগদ নির্ভর গ্রামকে এবার ডিজিটাল বানানোর লক্ষ্যে নেওয়া হল দত্তক

গ্রামে কোনও ব্যাঙ্ক নেই। ATM তো দূরের কথা! নগদ নির্ভর সেই গ্রামকেই এবার ডিজিটাল গ্রাম করার উদ্যোগ নিল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ক্যাশলেস গ্রাম গড়ার লক্ষ্যে দত্তক নেওয়া হল বিন্নাগুড়ির আদর্শপল্লিকে। ক্যাশ নাকি ক্যাশলেস? তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বিস্তর কুস্তি। সেই বক্সিং সিচুয়েশনের মধ্যেই ডিজিটাল হওয়ার পথে পা বাড়াল উত্তরবঙ্গের একটি গ্রাম। আদর্শপল্লি। সৌজন্যে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বিন্নাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের আদর্শপল্লি গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছে তারা। লক্ষ্য ডিজিটাল গ্রাম গড়ে তোলা।
ওয়েব ডেস্ক : গ্রামে কোনও ব্যাঙ্ক নেই। ATM তো দূরের কথা! নগদ নির্ভর সেই গ্রামকেই এবার ডিজিটাল গ্রাম করার উদ্যোগ নিল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ক্যাশলেস গ্রাম গড়ার লক্ষ্যে দত্তক নেওয়া হল বিন্নাগুড়ির আদর্শপল্লিকে। ক্যাশ নাকি ক্যাশলেস? তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বিস্তর কুস্তি। সেই বক্সিং সিচুয়েশনের মধ্যেই ডিজিটাল হওয়ার পথে পা বাড়াল উত্তরবঙ্গের একটি গ্রাম। আদর্শপল্লি। সৌজন্যে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বিন্নাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের আদর্শপল্লি গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছে তারা। লক্ষ্য ডিজিটাল গ্রাম গড়ে তোলা।
আদর্শপল্লি গ্রামের জনসংখ্যা ৩ হাজার। বেশিরভাগ গ্রামবাসী কৃষিজীবী। গ্রামবাসীদের ডিজিটাল লেনদেন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে দিনভর চলল প্রশিক্ষণ। প্রথম দিনেই দেড় হাজার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। গ্রামবাসীদের দেওয়া হয়েছে ডেবিট কার্ড। সঙ্গে পাসবুক। ডেবিট কার্ড কী করে ব্যবহার করতে হয়? কার্ড সোয়াইপ করে কীভাবে বিল মেটাতে হয়, গ্রামবাসীদের হাতে ধরে শিখিয়ে দিলেন ব্যাঙ্ককর্মীরা। গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে কৃষক, প্রশিক্ষণ পেয়ে অনেকেই খুশি।
আরও পড়ুন- শিলিগুড়ির রূপো ব্যবসায়ীকে ফের তলব আয়কর দফতরের
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডিজিটাল গ্রাম গড়ার উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত বিন্নাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েত। নোট বাতিলের সময় থেকেই ক্যাশলেস অর্থনীতির পক্ষে জোরাল সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাতে সায় নেই এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। কার্ডে লেনদেন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে, রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কোনও উপাচার্য কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেননি।
জেলাশাসকদের মাধ্যমে ক্যাশলেস সচেতনতা বাড়ানোর কেন্দ্রীয় উদ্যোগেও উত্সাহ দেখায়নি রাজ্য। এই সংঘাতের আবহে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের একটি গ্রাম ডিজিটাল হওয়ার লক্ষ্যে পথচলা শুরু করল। কতদূর এগোয়, এখন সেটাই দেখার।