জলাশয় বাঁচাতে জঙ্গি আন্দোলনেও পিছপা নয় একজোট ভবাদিঘি
জলাশয়কে বাঁচিয়েই প্রথমে তৈরি হয়েছিল রেলপথের নকশা। কিন্তু, তৃণমূলের কয়েকজন নেতার জমি বাঁচাতেই নাকি বলি দেওয়া হচ্ছে জলাশয়কে। অভিযোগ করছেন ভবাদিঘির বাসিন্দারা।
ওয়েব ডেস্ক : জলাশয়কে বাঁচিয়েই প্রথমে তৈরি হয়েছিল রেলপথের নকশা। কিন্তু, তৃণমূলের কয়েকজন নেতার জমি বাঁচাতেই নাকি বলি দেওয়া হচ্ছে জলাশয়কে। অভিযোগ করছেন ভবাদিঘির বাসিন্দারা।
জলাশয় বাঁচাতে একজোট গোটা গ্রাম। প্রয়োজনে জঙ্গি আন্দোলনেও তাঁরা পিছনা নন। কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ভবাদিঘি। মানুষ ফুঁসছেন। এক গ্রামে ৩০০ ঘর মানুষের বাস। তাঁদের একটাই জলাশয়। ভবাদিঘি। তার ওপর দিয়ে প্রস্তাবিত রেলপথ। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা উন্নয়নের বিরুদ্ধে নন। কিন্তু, রেলপথ হোক জলাশয় বাঁচিয়ে।
শুরুতে নাকি এমনই পরিকল্পনা ছিল। রেলপথ যাবে জলাশয়কে পাশ কাটিয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে। কিন্তু, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর জমি বাঁচাতেই নাকি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে রেলপথ। উঠে আসছে জগবন্ধু দে এবং অনাথবন্ধু দে নামে এলাকার দুই প্রভাবশালী নেতার নাম। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ভবাদিঘির সমস্যা মিটে গেছে।
যদিও গ্রামবাসীরা এখনও অনড় তাঁদের দাবিতে। প্রভাবশালীর জমি বাঁচানো নাকি জলাশয় বাঁচানো- রেলের কাছে প্রাধান্য পাবে কোনটা?
আরও পড়ুন, দিঘি বুজিয়ে রেল লাইন বসানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা হুগলির গোঘাটে