ওয়েব ডেস্ক: ফের অবাধ দুষ্কৃতীরাজ। এবার পান্ডুয়ার রামেশ্বরপুর। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল ঠিকাদারের গাড়ির চালকের। দুষ্কৃতীদের বেধড়ক মারে গুরুতর জখম হয়েছেন ঠিকাদার আরাফিল হোসেন। মনে করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীদের চিনে ফেলাতেই খতম করে দেওয়া হয়েছে গাড়ির চালককে। ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাত তখন প্রায় সাড়ে নটা। ডাবরার রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন ঠিকাদার আরাফিল হোসেন। হঠাতই থমকে যায় তাঁর বোলেরো। রাস্তায় ডাঁই করা বালির বস্তা।


বুঝতে সময় লাগেনি দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েছেন। গাড়ি থামতেই নেমে পালাতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে ওদের ঘিরে ফেলেছে ছ-সাতজন দুষ্কৃতী। শুরু হয় বেধরক মারধর। আর তার মধ্যেই এলাকা কেঁপে উঠল গুলির আওয়াজে। পরপর দুটি গুলি। এক্কেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ঠিকাদারের গাড়ির চালক বাউল দাস। বেধরক  মার খেয়ে কাতরাচ্ছিলেন ঠিকাদার আরাফিল হোসেন। সেই অবস্থাতেই তিনি ফোন করেন পাণ্ডুয়া থানায়।



দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য কে ছিলেন?


তাহলে গুলি কেন এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিল তাঁর গাড়ির চালককে? তাও পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে! নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা তো অন্য কিছু সন্দেহ করছেন। ঠিকাদারের গাড়িতে হামলা চালানোর ঠিক আগেই ওই একই রাস্তায় আটকানো হয়েছিল দুটি বাইককে। সেই বাইকের আরোহীদের মারধর করে হঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনও লুঠপাট চালানো হয়নি। তাহলে কি টার্গেট ছিলেন ঠিকাদারই? কারণ, প্রায় দশ বছর ধরে ঠিকাদারির কাজ করে আসছেন আরাফিল। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়িক শত্রুতাই কি এই হামলার মূল কারণ কিনা? খতিয়ে দেখছে পুলিস।