ব্যুরো:নির্বিঘ্নেই মিটে গেল শেষ দফার ভোট। আগের দফা গুলির মতো এবারও অ্যাকটিভ বাহিনী। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার ঘটলেও ভোটের শেষে চওড়া হাসি কমিশনের। বিতর্কে জড়িয়ে দিনভর খবরে থাকলেন তৃণমূলের রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আর উদয়ন গুহ। দুজনের বিরুদ্ধেই দায়ের হয়েছে FIR।শেষ দফার ভোটেও অ্যাকটিভ কমিশন। উত্তরে কোচবিহারের শীতলকুচি হোক বা দক্ষিণ পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া। সক্রিয় নিরাপত্তা বাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


অ্যাকটিভ বাহিনী
খবর ছিল বুথ দখলের চেষ্টা হবে। শিতলকুচির খাড়ারদিঘিতে দাবাং মুডে পুলিস।  গ্রামে ঢুকে চলল বেধড়ক লাঠি চার্জ। পালাতে গিয়ে ক্ষেতের মধ্যে ঢুকেও পার পায়নি অনেকেই। অভিযোগ গ্রামে ঢুকে ভয় দেখানো হচ্ছিল ভোটারদের। খবর পেয়েই গ্রামে ঢোকে বাহিনী। খাড়দিঘির আতঙ্কিত বাসিন্দাদের ভরসা দিতে এগিয়ে এল খাঁকি উর্দিই। 


বাহিনীর লাঠি 
শীতলকুচির লালবাজার এলাকায় শেষ বেলায় তত্পর পুলিস। অবাঞ্ছিত ভিড় হটাতে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসের কাছে লাঠি চার্জ। 


বাহিনীর বরাভয় 
খারদিঘির ছবি ধরা পড়ল পাঁশকুড়া পশ্চিমেও। মাইসোরার বুথে বসেননি কংগ্রেস এজেন্ট। খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে তাঁকে বুথে নিয়ে গিয়ে বসান কুইক রেসপন্স টিমের অফিসার মহম্মদ বেলাল হোসেন। গ্রামবাসীদেরও ভোট দিতে অনুরোধ করেন। তবে ভোট দেননি কেউ। 


বাহিনীর লাঠি
অবাঞ্ছিতদের ভিড় সরাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার দেউভাঙায়তেও লাঠি চালায় পুলিস। 


এক বাহিনী অন্য ছবি 
পূর্বে মেদিনীপুরেই বাহিনীর অন্য রূপ। বুথে অবাধ বিচরণ অবাঞ্ছিতের। দেখেও নির্বিকার নিরাপত্তাবাহিনী। 


পুলিসের দাদাগিরি 
নাটাবাড়িতে আবার উর্দি গায়ে পুলিসের দাদাগিরি। ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও বুথে বুথে ঘুরে ভোটের রিপোর্ট তলব পুলিস অফিসার রাজেশ বর্মণের। তিনি আবার স্থানীয় সিপিএম নেতার ছেলে। 


'আতঙ্কে' গ্রাম
পুলিসের এত তত্পরতার পরেও এড়ানো গেল না অনিয়ম। পূর্ব মেদিনীপুরের সাতসিমুলিতে আতঙ্কে গৃহবন্দি বিরোধী ভোটাররা। বুথের বাইরে নকল ইভিএমে ওয়ার্কশপ শাসকদলের। বুথে দেখা মিলল না  বিরোধী এজেন্টের।  


ভোটের মাসুল 
হুমকি সত্ত্বেও ভোট দেওয়ায়, শীতলকুচিতে মারধর ভোটারদের। হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শিতলকুচির লালবাজারের ঘটনা। 


হলদিয়ায় হুমকি
ভোটারদের হুমকির অভিযোগ হলদিয়া পুরসভার চোদ্দ নম্বর ওয়ার্ডেও। ভোটারদের অভিযোগ, গত তিন-চার দিন ধরে তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। হুমকিকে উপেক্ষা করেও অবশ্য ভোট দিয়েছেন কয়েকজন।


কমিশন বাহিনীর মতো দিনভর অ্যাকটিভ থাকলেন বিভিন্ন দলের ভোট ম্যানেজাররাও। দু মাস আগে ভোট ঘোষণার দিনই নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালানার আশ্বাস দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসিম জায়দি। ৭ দফা ভোটের পর , বলা যেতে পারে তিনি অনেকটাই সফল।