ওয়েব ডেস্ক: গভীর নলকূপের দাপটে ফুটো হয়ে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ শিলাস্তর। ভূপৃষ্ঠের কাছে থাকা জল চলে যাচ্ছে আরও গভীরে। শুকোচ্ছে কুয়ো,পুকুর। চরম জল সংকটের মুখে পড়তে চলেছে বাঁকুড়া শহর।সবে মার্চ। আর এখন থেকেই জলে টান পড়েছে বাঁকুড়ায়। পুরসভার টাইম কলের সামনে লম্বা লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। জল নামছে কুয়োয়।  তবে এটা এবছরই  হচ্ছে এমনটা নয়, গত কয়েকবছর ধরে এটাই বাঁকুড়ার  প্রতি বছরের কঠিন বাস্তব। আর এর  কারন,  অপরিকল্পিত ভাবে নগরায়ণ, সেচ আর গাছ কেটে দেওয়া, শহর বাড়ছে, বড় বড় রাস্তা হচ্ছে, মাটির উঠোন পাকা হচ্ছে। আদতে সব কিছুই যেন সিমেন্ট, পিচের মোড়কে। মাটি তে জল ঢুকতে পারছে না। জল বয়ে যাচ্ছে।বর্ষাকালে মাটির ওপর থেকে জল ঢোকে মাটির ভেতরে। আবার শুখা মরসুমে সেই জলই আমাদের কাজে লাগে। সেই দিবে-আর নিবের মহাকাব্য। কিন্তু সেই জল সংরক্ষণটাই হচ্ছে না। তারওপর সেচের বোরিং তো আছেই, এরওপর হয়েছে বহুতলের জন্য গভীর নলকূপ। তাতে আরও ক্ষতি বাড়ছে।ভৌগলিক ভাবে বাঁকুড়া ছোটনাগপুর মালভূমির প্রান্তসীমায়।বাঁকুড়া শহরে মাটির নিচে জলের ২টি  স্তর।প্রথমটি ভূতলের কাছাকাছি ৩০ - ৬০ ফুট গভীরতায়।অন্য স্তরটি ভূতল থেকে ৪০০ - ৮০০ ফুট গভীরতায়।দুই জল স্তরের মাঝে রয়েছে পুরু শিলাস্তর।শিলাস্তরের জন্য উপরের জল নীচে যেতে পারে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন 'ম্যাডাম' আসার আগে অজানা জন্তুর আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বনকর্তাদের!


কিন্তু নীতি নিয়মের তোয়াক্কা না করে  বোরিং করায় ফুটো হয়ে যাচ্ছে শিলাস্তর। আর উপরের  জল ক্রমশ চলে যাচ্ছে গভীরে। ফলে জল সঙ্কট বাড়ছে।জলের এই অনটনে পুরসভার সরবারহ করা জলেও ভরসা রাখা যায়না। পুরসভার ভরসা দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী। আর এই দুই নদী সারা বছর শুকনা। বর্ষাতেও মৃত গন্ধেশ্বরীতে ভরসা করা যায়না। আর দ্বারকেশ্বরও ধুকছে। তবে পুরসভার দাবি জলের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।অবিলম্ব জল সংরক্ষণ, অধিক পরিমানে গাছ না লাগানো হলে কোনও ভাবেই যে জল দরিদ্র বাঁকুড়াকে বাঁচানো যাবে না বলছেন ভূ বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন  সরকারি হাসপাতালের অনুসন্ধান বিভাগ সামলাচ্ছেন বহিরাগতরা!