ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য কার্যকারিণী সভার রাজনৈতিক প্রস্তাবে তৃণমূলকে চড়া সুরে আক্রমণ। বিধানসভা ভোটের আগে, সারদা সহ একগুচ্ছ ইস্যুকে সামনে রেখে এগোনোর দিক নির্দেশিকা স্পষ্ট রাজনৈতিক প্রস্তাবে। অথচ সেই সভাতেও, তৃণমূল নিয়ে মুখে কুলুপ জেটলির। কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বের অবস্থানে কেন এই ফারাক? আর এই ফারাকটাই দিশাহীন করে দিচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা নির্বাচনের আগে তত্‍পর রাজ্য বিজেপি। আন্দোলনের গতি বাড়াতে গত মাসেই রাজ্য জুড়ে আইন অমান্য কর্মসূচি ছিল বিজেপির। আইন অমান্য কর্মসূচি মনোবল সঞ্চার করেছে দলের নীচুতলাতে।


রাজ্য নেতৃত্বকে চাঙ্গা করতে ঘন ঘন রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য কার্যকারিণী সভায় যোগ দিতে শুক্রবার কলকাতায় ঘুরে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তৃণমূল নিয়ে দলীয় সভাতেও নীরব ছিলেন জেটলি। অথচ এই সভাতেই যে রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তাতে চড়া সুরে আক্রমণ করা হয়েছে  তৃণমূলকে।  


আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে সারদা ইস্যুতে নতুন করে সুর চড়াতে চায় রাজ্য বিজেপি। এছাড়া তৃণমূল জামাত যোগ, বোমাশিল্প বন্ধ, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার, হিংসা-সন্ত্রাস বন্ধে, সংস্কৃতি জগতে দাদাগিরি বন্ধের দাবি গৃহীত হয়েছে দলের কার্যকারিণী সভার রাজনৈতিক প্রস্তাবে। মমতা ব্যানার্জির সাড়ে চার বছরের শাসনকে বাহুবলী রাজনীতির এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে এই সভা।


কিন্তু কেন দুপথে এক দলের দুপক্ষ? বিজেপির রাজ্য নেতারা যখন তীব্র আক্রমণ করছেন তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাহলে কী গোড়াতেই গলদ?


শমীক ভট্টাচার্যদের মত, জেটলি জেটলির কথা বলেছেন, আমরা আমাদের পথে চলব। বিজেপির মতো সাংগঠনিক দলেও, কী তাহলে  রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে  বিরোধ শুরু হল? বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনের মঞ্চেও মমতার ভূয়সী প্রশংসা করে গেছেন,কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অথচ কার্যকারিণী সভায় রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে চরম সমালোচনা। তাতে বলা হয়েছে, "সাধারণ মানুষ চাইছে তৃণমূলী নেতাদের মিথ্যা কথা থেকে পরিত্রাণ, বাংলাকে--শিল্প মরুভূমি হওয়া থেকে পরিত্রাণ, তৃণমূল কংগ্রেসের অপদার্থ সরকার থেকে পরিত্রাণ' নির্বাচনের আগে বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্যের এই দ্বন্দ্বই রাজ্য বিজেপিকে দিশাহীন করে দিচ্ছে। কোন পথে তারা আগামীদিনে লড়াই করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না রাজ্য বিজেপির নেতারা।