ওয়েব ডেস্ক: মারামারি, হাতাহাতি--প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের কলেজগুলিতে। এর সর্বশেষ সংযোজন সবংয়ের সজনীকান্ত কলেজ। কবে বন্ধ হবে কলেজে অশান্তি। এ প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে উঠছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত চার পাঁচ বছরে রাজ্যের কলেজে কলেজে শুধু নৈরাজ্যের ছবি।


আন্দুল প্রভু জগদ্বন্ধু কলেজ, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১০
কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোয়ন পত্র পেশ করা ঘিরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। জখম হন এসএফআইয়ের স্বপন কোলে। হাওড়ার নার্সিংহোমে মৃত্যু।


রায়গঞ্জ কলেজ, ৫ জানুয়ারি, ২০১৩
ডেপুটেশন দিয়ে গিয়ে অধ্যক্ষের ঘর ভাঙচুর। অধ্যক্ষকে মারধর। কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস।


মাজদিয়া কলেজ, ৭ জানুয়ারি,২০১৩
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষকে ঘেরাও। অভিযোগ, অধ্যক্ষকে মারধর করেন এসএফআই সমর্থকরা।


বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ, ডিসেম্বর,২০১৪
ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ।   


ঘাটাল কলেজ, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কলেজের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করায় অধ্যাপককে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।


সবং সজনীকান্ত কলেজ, ৭ অগস্ট, ২০১৫
সবংয়ের সজনীকান্ত কলেজে পিটিয়ে ছাত্র খুন। কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।


এ ঘটনাগুলি উদাহরণ মাত্র। গত কয়েক বছরে বারবার শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের ছবিটা সামনে এনে দিয়েছে। মারপিঠ, বচসা, এ তো এখন রোজকার ঘটনা রাজ্যের কলেজগুলিতে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম জড়াচ্ছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের। রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রী, কারও অনুরোধেই কলেজে কলেজে বন্ধ হয়নি গণ্ডগোল, অশান্তি। শুক্রবার সেই অশান্তির চরম পরিণতির সাক্ষী থাকল গোটা বাংলা। আর এরপরই প্রশ্নটা জোরালো হতে শুরু করেছে, এই অশান্তির শেষ কোথায়?