ওয়েব ডেস্ক:‍ রেশন-বন্টনে স্বচ্ছতা আনতে এবার আরও কড়া খাদ্য দফতর। কার্ড থাকলেও যাঁরা রেশন নিয়মিত নেন না, তাঁরা কার্ড ব্যবহার করুন শুধুমাত্র পরিচয়পত্র হিসেবে। চাইছে খাদ্য দফতর। কালোবাজারি রুখতেই এই নতুন দাওয়াই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারের কাছে টপ প্রায়োরিটি রেশন। মন্ত্রীদের নিয়ে প্রথম বৈঠকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেশনে দুর্নীতি দূর করতে এবার নতুন উদ্যমে আসরে নামল খাদ্য দফতর।


রেশন প্রাপকদের লিস্টে, এমন অনেকেই ছিলেন এবং আছেন, যাঁরা রেশন তোলেন না। অথচ কার্ড রয়েছে। তাঁদের জন্য বরাদ্দ চাল-চিনি-আটা অনেকসময়ই কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ডিলারদের বিরুদ্ধেই। তা বন্ধ করতে এবার কড়া নজরদারি শুরু করেছে খাদ্য দফতর।


রেশন কার্ড ডিজিটাল করতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে নানা জটিলতায় পড়ে খাদ্য দফতর। এখনও প্রায় ৩৩ লক্ষ ডিজিটাল কার্ডে ভুল শোধরানোর কাজ চলছে। নির্ভুল কার্ড সব গ্রাহকদের হাতে পৌছনর পরই নতুন ব্যবস্থা চালু করার পথে প্রশাসন। গত ৬ মাসে খাদ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ২৮২ কোটি টাকা।


রেশন যাঁদের কাছে ততটা দরকারি নয়, তেমন গ্রাহকদের নাম তালিকা থেকে বাদ গেলে খরচও অনেকটাই কমবে বলে আশা সরকারের। একমাসের মধ্যে জেলাশাসকদের কাছ থেকে এনিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে খাদ্য দফতর।


এর পাশাপাশি, শুধু উত্‍পাদন নয়, এবার সংরক্ষণের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। প্রতি জেলায় ধান সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ার কথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন খাদ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে, গরিব মানুষের কাছে সস্তাদরে নিয়মিত খাদ্য পৌছে দিতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে খাদ্য দফতর।