ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে এক দশকের পর বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে কংগ্রেস। জোটের জোরে কংগ্রেস এখন ৪৪। আর রাজ্যের একদা শাসক এখন ৩২-এ এসে ঠেকেছে। ৩৪ বছর শাসন করে বামফ্রন্ট এখন ৩২। তাই প্রধান বিরোধীদেলের তকমাটাও মুছে গিয়েছে বামেদের শরীর থেকে। মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, এনিয়ে কাউর কোনও প্রশ্ন নেই, নেই শংসয়ও। কিন্তু কে হবেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটা নয়, ৪টি নাম ঘোরাফেরা করছে কংগ্রেসের অন্দরে। 


১- মানস ভুঁইয়া
কংগ্রেসের হয়ে সবং থেকে জিতে এসেছেন। একটানা সবংয়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন একদা প্রদেশ কংগ্রেস সভাধিপতি মানস ভুঁইয়া। ২০১১-তে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ প্রধান বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে প্রথম। তবে মানসের নম্বর কাটা যায়, শাসক ঘনিষ্ঠ বলে। প্রথম দিকে বামেদের সঙ্গে জোটেও আপত্তি জানিয়েছিলেন এই নেতা। 


২-আব্দুল মান্নান
হুগলীর চাঁপদানি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন আব্দুল মান্নান। বরাবরই মমতা বিরোধী বলেই পরিচিত। শাসকের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে বামেদের হাতে হাত ধরে রাস্তায় নেমেছেন এই নেতা। দৌড়ে আছেন ইনিও। তবে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তেমন সক্ষতা নেই বলে বাদ যেতে পারেন, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


৩-মনোজ চক্রবর্তী 
অধীর ঘনিষ্ঠ এবং কট্টরপন্থী নেতা। শাসককে বিঁধতে মনোজ চক্রবর্তীকেই বিরোধী দলনেতা করতে চাইছে কংগ্রেসের একাংশ। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে জয়ী মনোজবাবু একটু বদমেজাজি স্বভাবের বলেই কংগ্রেসের কেউ কেউ বলেন। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে মনোজ বাবু রাজ্যের বিরোধী মুখগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে তেমন অভিজ্ঞতা নেই বলে প্রথম দুইয়ের থেকে ইনি একটু পিছিয়ে। 


৪-আবু হেনা
এই তিনের কেউই না হলে চুতর্থ নাম হিসেবে আবু হেনার নাম প্রস্তাব করবে প্রদেশ কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ থেকে জয়ী হয়েছেন এই নেতা। 



তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন,"বিরোধী দলনেতা নিয়ে এখনই কোনও পাকাপোক্ত সিধান্ত নেওয়া হয়নি। নামের প্রস্তাব করা হবে হাইকম্যান্ডের কাছে। বিরোধী দলনেতার নামের প্রস্তাবে যার নামে শিলমোহর দেবে হাইকম্যান্ড তাঁকেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করা হবে"।