ওয়েব ডেস্ক : অস্ত্র সমীকরণ বদলে, এরাজ্যেই এখন তৈরি হচ্ছে মুঙ্গের স্পেশাল আর্মস। বিদেশি অস্ত্রের হুবহু নকল করে, অস্ত্র তৈরি হচ্ছে এবং তা মিলছেও অনেক সস্তায়। মুঙ্গের থেকেই কারিগর এনে এরাজ্যে তৈরি করা হচ্ছে অস্ত্রভাণ্ডার।
দ্রুত বদলাচ্ছে অস্ত্র পাচারের রুটও। এরাজ্যের দুষ্কৃতীদের আর ভিনরাজ্যে গিয়ে অস্ত্র কিনতে হয় না। হাতের কাছেই পাওয়া যাচ্ছে পছন্দসই হাতিয়ার। অস্ত্র ব্যবসায়ীদেরও মুঙ্গের থেকে অস্ত্র আনার ঝুঁকি নিতে হচ্ছে না। সবমিলিয়ে রমরমা কারবার।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খালি এরাজ্য নয়, এখান থেকেই  অস্ত্র পৌঁছচ্ছে ভিনরাজ্যে, এমনকী ভিনদেশেও। বিএসএফের সাম্প্রতিক রিপোর্টেই উল্লেখ রয়েছে, মালদা, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র পাচার হচ্ছে পড়শি ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাদেশে।  
পাচারের রুটে যোগ হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতেরও নাম। এটাই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার জন্য উদ্বেগের ছবি।


আরও পড়ুন- অস্ত্র ব্যবসায় এখন আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রথম পছন্দ বাংলা


বেআইনি অস্ত্র মানেই এতদিন উঠে আসত মুঙ্গের, ভাগলপুর বা গয়ার নাম। অস্ত্র দরকার? তাহলে ডেস্টিনেশন ছিল বিহারের এই অঞ্চলগুলি। কিন্তু এখন আর বিহার নয়, অস্ত্র পেতে এখন আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রথম পছন্দ এই বাংলা। বদলাচ্ছে ট্রেন্ড।


গুলি চলা+বন্দুক উদ্ধার


বেশি দিন পিছিয়ে যেতে হবে না। এমাসের শুরুতেই অস্ত্র সহ হাওড়া ব্রিজে পাকড়াও হয়, কেরলের দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। তাদের একজন আবু বক্কর সিদ্দিকি। কুখ্যাত ডন রবি পূজারীর সঙ্গী। ধৃতদের জেরা করেই জানা যায়, তারা মুর্শিদাবাদ গিয়েছিল অস্ত্র কেনার বরাত দিতে। এরপরই ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করে অস্ত্র-রুটের নতুন ছবি। 


এতদিন বেআইনি অস্ত্র কারখানা মানেই ছিল বিহারের মুঙ্গের, গয়া, ভাগলপুর। এরাজ্যের দুষ্কৃতীই হোক বা ভিনরাজ্যের, অস্ত্র কিনতে পাড়ি দিত বিহারে। সেই বিহার ছেড়ে এখন কুখ্যাত ডনেরা হাজির এরাজ্যে। গত তিন মাসে কলকাতা শহরতলিতে হদিশ মিলেছে একের পর এক অস্ত্র কারখানার।  


কখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা, রবীন্দ্রনগর কিংবা বারুইপুর বা ক্যানিং। ওদিকে উত্তরের দিকে চোখ ফেরালে, মালদার বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক। কখনও আবার মুর্শিদাবাদের ডোমকল। বারবার উদ্ধার অস্ত্র। পর্দাফাঁস অস্ত্র কারখানার।  9mm, 7mm থেকে শুরু করে সিঙ্গল শটার, সবই তৈরি হত এই কারখানাগুলিতে। রমরমা অস্ত্র ব্যবসার।