ওয়েব ডেস্ক: অভাবের সঙ্গে লেপ্টে থাকা অপুষ্টি। আর তাতেই যক্ষার আতুরঘর বীরভূমের কোরাগ্রাম। কেন এই হতদরিদ্র অবস্থা? সদর শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অপুষ্টি এত বড় থাবা বসাল কী করে? উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া গ্রামে নেশাই হয়েছে কাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বামী মারা গেছে যক্ষ্মায়। একই রোগ কেড়ে নিয়েছে জামাইকেও। পুরুষ শূন্য পরিবারে কে রোজগার করবে? কীভাবে আসবে চাল, ডাল, তেল, নুন? সবটাই ঘোর অনিশ্চয়তায় ভরা। কিন্তু একটা ছোট্ট গ্রামে পরপর পুরুষরা মারা যাচ্ছেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল বিস্ফোরক তথ্য।


আর পাঁচটা আদিবাসী গ্রামের মতো কোরাগ্রামেও পুজোপার্বণে হাঁড়িয়া খাওয়ার চল ছিল। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে এখনও তার চিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ৫ বছর আগে হাঁড়িয়ার জায়গা নেয় চোলাই। খাটনি কম, মস্তি বেশি। ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া আদিবাসী গ্রামে ঢুকতে শুরু করে চোলাই। গ্রামের অদূরেই সাপ্লাই লাইন। এক, দুই করে আস্তে আস্তে আসক্ত হয়ে পড়ে গোটা কোরাগ্রাম।


ফুসফুসে যক্ষা। পেটে চোলাই। বলিষ্ঠ শরীর ধীরে ধীরে অশক্ত হয়। তিলতিল মৃত্যুর পথে তখন নেশাই হয়ে ওঠে অনুঘটক। কোরাগ্রামের নেশাপ্রীতির কথা অজানা নয় প্রশাসনের কাছেও।


অপুষ্টি যক্ষ্মার অন্যতম কারণ। চোলাইয়ের নেশা সেই সঙ্কটকে আরও জটিল করেছে। সংসারের হতশ্রী চেহারা। তার সঙ্গে জীবন সংকট। কোরাগ্রামকে নেশামুক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।