জমি ফেরতের দাবিতে কেন উত্তপ্ত শিবপুর?
জমি ফেরতের দাবিতে কেন উত্তপ্ত শিবপুর? কেনই বা ক্ষোভে ফুঁসছেন আন্দোলনকারীরা? কারণ জানতে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকটা বছর। তখন বাম আমল। শিল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শিবপুর মৌজার ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে বামেরা। এরপর কেটে গেছে ষোলটা বছর। ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে। বাংলার কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিবপুর মৌজার তিনশো একর জমি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে এখনও।
ওয়েব ডেস্ক: জমি ফেরতের দাবিতে কেন উত্তপ্ত শিবপুর? কেনই বা ক্ষোভে ফুঁসছেন আন্দোলনকারীরা? কারণ জানতে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকটা বছর। তখন বাম আমল। শিল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শিবপুর মৌজার ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে বামেরা। এরপর কেটে গেছে ষোলটা বছর। ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে। বাংলার কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিবপুর মৌজার তিনশো একর জমি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে এখনও।
বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনেরই দাবি, অধিগৃহীত জমিতে শিল্প হোক। কোনও সরকারের আমলেই বাস্তবায়িত হয়নি এলাকাবাসীর সেই দাবি। ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যে লগ্নি টানতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বার্তা নিয়েই ২০১২ সালে অধিগৃহীত জমি পরিদর্শন করেন তখনকার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থ সেসময় জানিয়েছিলেন, অধিগৃহীত জমিতে গড়ে উঠবে শিল্প তালুক। শুরু হয় কাজ। কিন্তু মাঝপথেই থমকে যায় প্রকল্প। তারপর পেরিয়ে গেছে আরও পাঁচটা বছর। শিবপুরের ৩০০ একর জমিতে এবার গীতবিতান সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে বিশ্বভারতীর আদলে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ জমিদাতারা। তাদের দাবি, শিল্পের জন্য নেওয়া জমিতে শিল্পই করতে হবে। শিল্প হলে কাজ পাবেন এলাকার ভূমিপুত্ররা।বিশ্ববিদ্যালয় বা আবাসন গড়লে তাদের জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তন আসবে না। তাই শিল্প নাহলে জমি ফেরতের দাবিতে অনড় এলাকাবাসী। আর এই ইস্যুতেই আন্দোলন দানা বাঁধছে বোলপুরের শিবপুর মৌজায়।