ওয়েব ডেস্ক: আগমনীর সুর মিলিয়ে গেছে। কৈলাসে পৌছে গেছেন উমা। বাতাসে এখন নতুন আগমনীর সুর। হালকা উত্তুরে হাওয়া। চামড়ায় টান। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ঠিক সময়েই শীতের আগমন হতে চলেছে রাজ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আকাশে তুলো মেঘ। পাতায় পাতায় সোনা রোদের তিরতিরে নাচ। স্থলপদ্মের নুইয়ে পড়া ডাল। কাশের দোলা। শিউলির চাদর। এসবই জানান দেয়, একজন আসছে। প্রতি বছর এটা যদি হয় উমার আগমনী, তাহলে শীতবুড়োরও একটা আগমনী আছে। শরতের শেষ লগ্ন থেকে শুরু হয়ে সেই আগমনীর সুর হেমন্তের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাজতে থাকে। বাতাসে হালকা উত্তুরে হাওয়ার ছোঁয়া। টান ধরছে চামড়ায়। ভোরের দিকে শিরশিরে ভাব। ফ্যান কমাতে হচ্ছে। গায়ে পাতলা চাদর টেনে নিলে আরও আরাম।


আরও পড়ুন নিজের বেলায় বুঢ্ঢা হোগা তেরা বাপ, আর বাড়ির ধন্যি মেয়েরা বিয়ের পর থেকে যাক অন্তরালে!


আশার বাণী শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এবার ঠিক সময়েই শীতের আগমন হবে রাজ্যে। শনিবারই রাজ্যের একাংশ থেকে বিদায় নিয়েছে মৌসুমী বায়ু। কতদিন পরে এই অনুভূতি ফেরত এল, তা গুণতে গেলে ভাবতে হবে বঙ্গবাসীকে। কারণ বাংলার ঋতুচক্র, বাংলার ক্যালেন্ডার থেকে আমুল উধাও হয়ে যেতে বসেছে তিন তিনটি ঋতু। শরত্‍ হেমন্ত আর বসন্ত।


এবার কিন্তু শরতেই হিমের পরশ মিলেছে। হেমন্তের শিরশিরে হাওয়ায় শীতের রেড কার্পেট আরও চওড়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পুজো কাটতে না কাটতেই শীতের কলিং বেল। গতকয়েক বছর শীতের ওপেনিং স্পেল ছিল বেশ খামখেয়ালি। গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়েও শীতবুড়োর দেখা মেলেনি সেভাবে। এমনকী ভরা পৌষে মেট্রোয় এসি রেক খুঁজেছেন যাত্রীরা। এবার কিন্তু শীতের আগমনীর সুর ঠিক সময়েই বেজেছে।


আরও পড়ুন এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ বর্ধমানের আউশগ্রামে


ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টায় রোগজ্বালার প্রকোপ বাড়ে। ডাক্তাররা বলছেন, ঠান্ডা একবার পড়ে গেলে অসুখ বিসুখ তেমন হয় না। কিন্তু ঠান্ডা পড়ার সময় বেশ কিছু ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। মূলত ৩, ৬, ৯ মাস বয়সী শিশুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, যাকে ব্রঙ্কিওলাইটিস বলে। পক্সের সময় না হলেও, সিজন চেঞ্জের এই টাইমে চিকেন পক্সের প্রকোপ বাড়ে। এধরনের রোগব্যাধি এড়াতে খাওয়াদাওয়া ও পোশাক পরিচ্ছদের ব্যাপারে সতর্ক হতে বলছেন ডাক্তাররা।