ওয়েব ডেস্ক: আগামিকাল শীত আরও বাড়বে। তবে শীতের মেয়াদ বেশি দিনের নয়, একেবারে বিজ্ঞানের শর্ত অনুসরণ করে না বললেও, পাঁচিশে জানুয়ারির পরই রাজ্যে শীতের বিদায়। তবে যাওয়ার আগে শীতের  শেষ কামড়ে জবুথুবু দশা রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ। এবার তেমন শীত নেই, এই ধরনের হা-হুতাশ নয়, এবছর শীতই পড়েনি।  গোটা পৌষ গেছে বসন্তের  উষ্ণতায়। মাঘের শীতে বাঘ পালায়, একথাও সত্যি মনে হচ্ছিল না মাঘের প্রথম দিকে ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অবশেষে শীত আসার মত করে এসেছে। আবহাওয়া দফতর বলছে যাওয়ার আগে শেষ কামড়। পঁচিশে জানুযারি অবধি থাকবে ঠাণ্ডার প্রকোপ। উত্তরে হাওয়ায় তাপমাত্রা নেমে গেছে বেশ খানিকটা। বাঁকুড়া,পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের অধিকাংশ এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ন ডিগ্রিতে । বীরভূম,বর্ধমানের কোনও কোনও জায়গায় তাপমাত্রা  নেমেছে সাতে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে শনিবার ছিল শীতলতম দিন, পাঁচ ডিগ্রি।  দার্জিলিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা উত্তরবঙ্গেই তাপমাত্রা নেমেছে। কুয়াশার জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সারাদিন কোনও বিমান ওঠানামা করেনি। আর এই জাঁকিয়ে পরা শীতের আমেজ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে পিঠেপুলি উত্‍সব।


হুগলির শেওড়াফুলিতে পিঠের পসরা সাজিয়ে দোকান বসেছে পিঠেপুলি মেলায়। বাড়িতে তৈরি নানা স্বাদের পিঠে নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছেন  মহিলারা। দুধপুলি, ক্ষিরপুলিতো আছেই, মিষ্টিতে যাদের অরুচি তাদের জন্য ঝাল পাটিসাপটাও রয়েছে। মেলার মত শেষ শীতের আমেজে পিকনিকেও মেতেছিল সারা রাজ্য। মাইথন, মুকুটমনিপুর থেকে  জলপাইগুড়ির গাজলডোবা সর্বত্রই ভিড় ছিল পিকনিকের।