পুরুলিয়ার কাশীপুর ও বর্ধমানের মেমারি, ঘরছাড়া দুই আদিবাসী পরিবার

একবিংশ শতকেও মধ্যযুগের শাসন। পুরুলিয়ার কাশীপুর ও বর্ধমানের মেমারি। ঘরছাড়া দুই আদিবাসী পরিবার। এক জায়গায় ডাইনির বদনাম। আরেকটি জায়গায় জমি বিবাদ। আমাদের চন্দ্রযান মঙ্গলে পাক খাচ্ছে। আর আমরা পাক খাচ্ছি বস্তাপচা কিছু কুসংস্কারের চারপাশে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে গেলেই ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে আমাদের উদার মনস্কতার অহঙ্কার। কাঁটাডাঙ্গা গ্রামে ঘরছাড়া সোরেন পরিবার। সতেরোজন সদস্য। সকলেই উদ্বাস্তু। গ্রামবাসীদের সন্দেহ তাঁরা নাকি ডাইনি। তাই আইনের চোখে কোনও অপরাধ না করেও তিন বছর ধরে ভবঘুরে পরিবারের আট থেকে আশি। পুলিস থেকে প্রশাসন। নেতা থেকে মন্ত্রী। সকলের দরজারই কড়া নেড়েছেন। তবু নিজের গ্রামে, নিজের বাড়িতে থাকার অনুমতি পাননি।

Updated By: Apr 30, 2017, 09:53 PM IST
পুরুলিয়ার কাশীপুর ও বর্ধমানের মেমারি, ঘরছাড়া দুই আদিবাসী পরিবার

ওয়েব ডেস্ক: একবিংশ শতকেও মধ্যযুগের শাসন। পুরুলিয়ার কাশীপুর ও বর্ধমানের মেমারি। ঘরছাড়া দুই আদিবাসী পরিবার। এক জায়গায় ডাইনির বদনাম। আরেকটি জায়গায় জমি বিবাদ। আমাদের চন্দ্রযান মঙ্গলে পাক খাচ্ছে। আর আমরা পাক খাচ্ছি বস্তাপচা কিছু কুসংস্কারের চারপাশে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে গেলেই ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে আমাদের উদার মনস্কতার অহঙ্কার। কাঁটাডাঙ্গা গ্রামে ঘরছাড়া সোরেন পরিবার। সতেরোজন সদস্য। সকলেই উদ্বাস্তু। গ্রামবাসীদের সন্দেহ তাঁরা নাকি ডাইনি। তাই আইনের চোখে কোনও অপরাধ না করেও তিন বছর ধরে ভবঘুরে পরিবারের আট থেকে আশি। পুলিস থেকে প্রশাসন। নেতা থেকে মন্ত্রী। সকলের দরজারই কড়া নেড়েছেন। তবু নিজের গ্রামে, নিজের বাড়িতে থাকার অনুমতি পাননি।

আরও পড়ুন পুলিস পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি শ্রীরামপুরে

একই অবস্থা পুরুলিয়ার কালীপদ বাস্কের। কাশীপুর থানার মিহি গ্রামে বাড়ি। জমি বিবাদ নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে মারামারি হয়। কালীপদ সহ গোটা পরিবারকে গারদে পুরে দেয় পুলিস। ছাড়া পেয়েও ঘরে থাকা হয়নি।উচিত-অনুচিত, নীতি-নৈতিকতায় সকলেই জ্ঞানপাপী। তবু শুধু সত্যের খাতিরে দুটি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারল না প্রশাসন। দুই ক্ষেত্রেই গ্রামশুদ্ধু লোকের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারলেন না কর্তারা। এই গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যে শেষ কথা বলে।

আরও পড়ুন  রেলপথ ঐতিহ্য নাকি যন্ত্রণা? এই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে আলিপুরদুয়ারে

.