বাংলাদেশের রেশমার নতুন জীবন শুরু

সতেরো দিন ধরে মাটির নিচে আটকে থাকা। নিঃসঙ্গ, প্রায় আলো-বাতাস না থাকা একটা ছোট্ট জায়গায় আবদ্ধ। পাশে পড়ে রয়েছে একাধিক লাশের সারি। সেই অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই করে বেঁচে থাকা। এটাই ঢাকার সাভারে ভেঙে পড়া রানা প্লাজা থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণী রেশমা বেগমের কাহিনী। আর সেই সাহসিকতার পুরস্কার হিসেবে পেলেন ঢাকার একটি হোটেলে চাকরি।

Updated By: Jun 7, 2013, 12:14 PM IST

সতেরো দিন ধরে মাটির নিচে আটকে থাকা। নিঃসঙ্গ, প্রায় আলো-বাতাস না থাকা একটা ছোট্ট জায়গায় আবদ্ধ। পাশে পড়ে রয়েছে একাধিক লাশের সারি। সেই অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই করে বেঁচে থাকা। এটাই ঢাকার সাভারে ভেঙে পড়া রানা প্লাজা থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণী রেশমা বেগমের কাহিনী। আর সেই সাহসিকতার পুরস্কার হিসেবে পেলেন ঢাকার একটি হোটেলে চাকরি।
২৪ এপ্রিল ২০১৩। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন। ওই দিন ঢাকার কাছে সাভারে ভেঙে পড়েছিল রানা প্লাজা নামে একটি বহুতল বাড়ি। দেশের ভয়াবহতম বহুতল দুর্ঘটনায় সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা এগারোশ উনত্রিশ। তবে সে দিনের দুর্ঘটনায় যেকজন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন বছর উনিশের রেশমা বেগম। প্রায় ১৭ দিন ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে ছিলেন। অবশেষে মে মাসের ১০ তারিখ তাঁকে উদ্ধার করা হয়। গোঙানির আওয়াজ শুনে একটি অন্ধকার কুঠরিতে পৌঁছে যায় উদ্ধারকারী দল। সেখান থেকে রেশমাকে উদ্ধার করেন সেনা জওয়ানরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বহুতলে যেকটি পোষাক কারখানা ছিল, তারই একটি কাজ করতেন রেশমা। উদ্ধারের পর ভর্তি করা হয়  ঢাকার সামরিক হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার ছাড়া পান রেশমা। সঙ্গে পেলেন একটি বহুজাতিক সংস্থার পাঁচতারা হোটেলে চাকরি। ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে অতিথি আপ্যায়নের দায়িত্ব।   
 
১৭ দিন ধরে মাটির নিচে আটকে থাকার সেই দিনগুলো এখনও ভুলতে পারেননি রেশমা। কাজের পাশাপাশি সে দিনে দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন বহু সহকর্মীকে। তবে নতুন চাকরি পেয়ে রেশমা এখন খুশি। তাঁর প্রধান লক্ষ্য, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা। ঈশ্বরের কাছে সেই প্রার্থনাই তিনি করছেন।   
 
আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তারই মাঝে নতুন চাকরি। সব মিলিয়ে জীবন ফিরে পেয়ে নতুন করে বাঁচতে চান রেশমা। তবে প্রতিজ্ঞা একটাই। আর কখনও কোনও পোষাক কারখানায় কাজ করবেন না তিনি।

.