বাদশাহী শাহরুখ
কখনও তিনি রোম্যান্টিক হিরো, কখনও আবার অ্যান্টি হিরো। বলিউডে হিরো এবং অ্যান্টি হিরো হিসাবে সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছেন একমাত্র শাহরুখ খান। এখনও স্বমহিমায় রাজ করছেন বলিউডে। রইস ছবিতে আবার ফিরছেন অ্যন্টি হিরো অবতারে। রাহুল ঢোলাকিয়া তাঁকে রাজি করিয়েই ছাড়লেন। ফ্যানেরা খুশি তাঁদের মেগাস্টারকে স্বমহিমায় ফিরে পেয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: কখনও তিনি রোম্যান্টিক হিরো, কখনও আবার অ্যান্টি হিরো। বলিউডে হিরো এবং অ্যান্টি হিরো হিসাবে সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছেন একমাত্র শাহরুখ খান। এখনও স্বমহিমায় রাজ করছেন বলিউডে। রইস ছবিতে আবার ফিরছেন অ্যন্টি হিরো অবতারে। রাহুল ঢোলাকিয়া তাঁকে রাজি করিয়েই ছাড়লেন। ফ্যানেরা খুশি তাঁদের মেগাস্টারকে স্বমহিমায় ফিরে পেয়ে।
চোখই তাঁর সব কথা বলে দেয়। তাকানোতেই সব বুঝিয়ে দেন বলিউড বাদশা। নেগেটিভ রোলে বরাবরই নজর কেড়েছেন তিনি। তাঁর ফ্যানদেরও তাই রইস নিয়ে প্রচুর প্রত্যাশা। একে তো ফ্যান সেভাবে মনজয় করতে পারেনি, আর ডিয়ার জিন্দেগিতে ও এত কম সময় তাঁকে দেখে মন ভরে নি ফ্যানদের। তাই তাঁর আপকামিং ছবি রইসে গুজরাতের গ্যাংস্টার আব্দুল লতিফের চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে। ছবিতে রইস আলম নামেই পরিচিত তিনি আবার কারোর কারোর কাছে তিনি মিয়াঁভাই।
আরও পড়ুন- আব্দুল 'রইস' লতিফ!
নব্বই দশকের পুলিসের হিটলিস্টে ছিল এই ডন। বাজিগর ছবিতে তিনিই অ্যান্টি হিরোর কনসেপ্ট নিয়ে হাজির হলেন নয়া অবতারে।সালটা ১৯৯৩। থ্রিলারে অজয় শর্মার সেই চাউনি আজও অনেককেই তাড়া করে বেরায়। শিল্পা শেট্টি ও কাজলের সঙ্গে প্রমাণ করলেন ভিলেন হয়েও তিনিই হিরো।এর পর থেকেই ঝলমলে এক ভিলেনকে পেল ইন্ডাস্ট্রি।
এই বছরেই মুক্তি পায় নেগেটিভ চরিত্রে তাঁর আরও একটি ছবি ডর। এই ছবিতে তিনি একজন অবসেসড প্রেমিক। জুহি চাওলার বিপরীতে তাঁর চরিত্রে নাম ছিল রাহুল।এই ছবিতেই তার বিখ্যাত সেই সংলাপ রয়েছে।
১৯৯৪ এ আবার অনজাম ছবিতে অ্যান্টি হিরো। একজন সাইকোপ্যাথ বিজয় অগ্নিহোত্রীর চরিত্রে বাদশা। মাধুরী ওরফে শিবানি অন্য একজনকে বিয়ে করায় তাঁকে পাওয়ার জেদ চড়ে যায় বিজয়ের। প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন তিনি।সেখানেও নেগেটিভ চরিত্রের পাশাপাশি বিজয়ের সাইকোলজিকাল একদিকও তুলে ধরেছিলেন শাহরুখ।
১৯৯৮এ ডুপলিকেট। ছবির পোস্টার দেখেই খানিকটা আন্দাজ করা গিয়েছিল কিং খানের দুটি শেড রয়েছে ছবিতে।তাঁর ডবল রোল ছিল।মনু ও বাবলু।বাবলু শেফের ভূমিকায় নজর কেড়েছিলেন সকলের।যে হোটলের শেফ ছিলেন সেই হোটেলেরই ম্যানেজার ছিলেন সোনিয়া ওরফে জুহি চাওলা।আর মনু ছিল একজন ক্রিমিনাল।একই ছবিতে দুটি শেডে বাদশার জয়জয়কার।
এরপর ২০০৬ এ এল ডন।১৯৭৮ এ ডনের রিমেক। এই ছবিতে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে হয়েছিল তাঁকে।শাহেনশার ডনের পর তাঁকে দর্শক কীভাবে নেবে তা নিয়েই চিন্তায় ছিলেন শাহরুখ। কিন্তু ডনের এন্ট্রিই হয়েছে ধামাকাদার।ফারহান আখতারের পরিচালনায় ডন সুপারহিট হয়।
এর কিছুদিন পর ডনের দ্বিতীয় ভাগও হয়েছে। তাতে শাহরুখ আরও শার্প, আরও এজি। অ্যাকশন সিনে মারাত্মক। দিলওয়ালে ছবিতেও শাহরুখের চরিত্রটিকে নায়ক বলা যায়না। এখআনেও এক গনের ভূমিকায় তিনি। তবে এবার সঙ্গে কাজল, তিনিও ঠিক নায়িকা নন। Black and white-এর থেকে grey shadesই ছিল বেশি। যদিও দিলওয়ালে সেভাবে দর্শকের মন ভরাতে পারেনি।
আরও পড়ুন- শাহরুখ-সলমন-আমির খানদের পিছনে ফেলে দিলেন রজনীকান্ত!
ডুপ্লিকেটের পর আবারও ফ্যান ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে ফিরলেন বাদশা। যার একটা চরিত্র পুরোপুরি নেগেটিভ। শাহরুখের অভিনয়ের প্রশংসা হলেও ছবিটি বক্স অফিসে সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু রইস-এর ট্রেলারে আবারও আশা জাগাচ্ছেন কিং খান। ধোঁয়ার ভেতর থেকে হাতে রড নিয়ে বেরিয়ে আসা বা ঘুড়ি ওড়াতে ওড়াতে জোরদার সংলাপ, মন কাড়ছে ফ্যানদের। পরপর ছবিতে এমন চরিত্র বেছে কী অ্যান্টি হিরোকেই হিরো বানিয়ে বলিউডের ট্রেন্ড বদলাতে চাইছেন শাহরুখ!