ডিভিসির জল ছাড়ায় প্লাবনের আশঙ্কা রাজ্যের তিন জেলায়

ডিভিসির জলাধার থেকে নতুন করে জল ছাড়ার ফলে ফুলেফেঁপে উঠেছে  দামোদর, অজয়, দারকেশ্বর, কংসাবতী নদী। জলাধার থেকে বাড়তি জল ছাড়ার ফলে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Updated By: Oct 14, 2013, 09:59 PM IST

ডিভিসির জলাধার থেকে নতুন করে জল ছাড়ার ফলে ফুলেফেঁপে উঠেছে  দামোদর, অজয়, দারকেশ্বর, কংসাবতী নদী। জলাধার থেকে বাড়তি জল ছাড়ার ফলে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ৮০ হাজার কিউসেক জল। ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে মাইথন থেকে। জল ছাড়ার ফলে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের নদীগুলিতে জল বাড়ছে। দারকেশ্বর, কংসাবতী, ভৈরোবাঁকি, শিলাবতী, শালি বাঁকুড়ার এই পাঁচটি নদীই ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একটানা বৃষ্টি চললে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুরে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত  বর্ধমানের আউশগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। বনকুল, নৃসিংহপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঝড়ের তাণ্ডবে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। শুধুমাত্র বনকুল গ্রামেই ৩০০-র বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঘড় বাড়ি ছেড়ে বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বনকুল গ্রামে প্রশাসনের তরফে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় গোটা অঞ্চলে বিদ্যুত পরিষেবা ব্যাহত।গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলিতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

.