রিয়েলিটি শোয়ে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে বিস্ফোরক প্রতিযোগী

 খানিকটা আগুনে ঘি ঢালার মতোই এই ঘটনার সত্যতা মেনে নিয়েছেন 'ইন্ডিয়ান আইডল'-এর জনপ্রিয় সঞ্চালিকা মিনি মাথুর।

Updated By: Aug 24, 2018, 04:47 PM IST
রিয়েলিটি শোয়ে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে বিস্ফোরক প্রতিযোগী

নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ইন্ডিয়ান আইডল', ভারতীয় টেলিভিশনে চলা জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো গুলির মধ্যে এই শোটি অন্যতম। বার্ক রিপোর্ট অনুসারে টপ ২০র মধ্যে স্থান রয়েছে ইন্ডিয়ান আইডলের। সম্প্রতি, জনপ্রিয়তা নয়, অন্য একটি কারণে আলোচনায় উঠে এসেছে 'ইন্ডিয়ান আইডল'।  ২০১২সালের ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগী নিশান্ত কৌশিক ইন্ডিয়ান আইডল চলাকালীন শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন। আর খানিকটা আগুনে ঘি পড়ার মতোই এই ঘটনার সত্যতা মেনে নিয়েছেন 'ইন্ডিয়ান আইডল'-এর জনপ্রিয় সঞ্চালিকা মিনি মাথুর।

২০১২ সালে 'ইন্ডিয়ান আইডল' শোয়ের তৃতীয় রাউন্ড থেকে বের হয়ে যেতে হয় নিশান্ত কৌশিক নামে ওই প্রতিযোগীকে। সম্প্রতি টুইটার ইন্ডিয়ান আইডল শো নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিশান্ত। ঘটনার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে নিশান্ত লিখেছেন, ইন্ডিয়ান আইডলের কিছু প্রতিযোগীকে শোয়ের প্রযোজক ও উদ্যোক্তাদের গাফিলতিতেই এধরনের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। নিশান্ত কৌশিক লিখেছেন, '' বিস্তারিত বলতে গেলে ২০১২ সালে ইন্ডিয়ান আইডলে অডিশন দেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি ভীষণ নিস্পৃহ। কারণ, আমার কাছে একজন প্রতিযোগী, প্রতিভার স্বপ্ন ধংস করার জন্য এই প্লার্টফর্মই যথেষ্ঠ।

'' পাশাপাশি কীভাবের ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগীদের একধিক হুমকি ও অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়ে সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে একাধিক টুইট করেছেন নিশান্ত। তাঁর কথায় ''ইন্ডিয়ান আইডলের অডিশন শুরু হয়েছিল দুপুর ১টার সময়। আর সেই অডিশন দেওয়ার জন্য আমরা সকাল ৭টা থেকে ২ কিলোমিটার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন প্রতোযোগীও ছিলেন যাঁরা ভোর পাঁচ, কেউবা আবার রাত থেকে এসে লাইন দিয়ে ছিল। যাখন অডিশন শুরু হল, তখনও ভীষণই অব্যবস্থা ছিল । না ছিল খাবার, না জল, না কোনও শৌচালয়। আমার তৃষ্ণার্ত অবস্থায় অডিশনের জন্য দাঁড়িয়েছিলাম।''

নিশান্ত কৌশিকের আরও অভিযোগ, কোনও প্রতোযোগী গান গাইতে না পারলে তাঁদের নিয়ে কীভাবে হাসিঠাট্টা করা হয়। এমনকি অডিশনের সময় বেশকয়েকজনকে মুখে বানিয়ে গানের লাইনও গাইতে বলা হয়, একজন এর বিরোধীতা করতে তাঁকে থাপ্পর মারেন অডিশন নিতে আসা এক বিচারক। তাঁকে সেসমস খুব খারাপভাবে অডিশন ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও বলা হয়। এমনকি যাঁরা গান গাইতে পারেননা তাঁদেরকেও নানান রকম নাটক, কৌতুক করার জন্য বিচারকদের সামনে পাঠানো হয়। যাতে বিচারকরা তাঁদের নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে পারে।

এই অভিযোগের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান আইডল শোয়ের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ এনেছেন নিশান্ত। তাঁর এই টুইটগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই নিশান্তের টুইটের পাল্টা টুইট করতে থাকেন। 

নিশান্ত কৌশিকের এই অভিযোগের সত্যাতা একপ্রকাশ শিকার করে নিয়েছেন ইন্ডিয়ান আইডলের একসময়ের সঞ্চালিকা মিনি মাথুর। যদিও তিনি ২০১২ সালে ওই ইন্ডিয়ান আইডলের অংশ তিনি ছিলেন না। 

বর্তমানে ইন্ডিয়ান আইডল ১০এর বিচারকের আসনে রয়েছেন অন্নু মালিক, নেহা কক্কর, বিশাল দদলানি। আর সঞ্চালক হিসাবে রয়েছেন মণীশ পল।

.