রয়ে গেল রোশন কাঁটা, এটিএ চাইল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ

এবারের পাহাড় সফরে গোর্খাল্যান্ডের উল্লেখ না করে অখণ্ড রাজ্যের সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বিতর্ক এড়াতে চাইলেও নিজেদের অবস্থানে কিন্তু অনড় মোর্চা।

Updated By: Oct 11, 2011, 09:04 PM IST

এবারের পাহাড় সফরে গোর্খাল্যান্ডের উল্লেখ না করে অখণ্ড রাজ্যের সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বিতর্ক এড়াতে চাইলেও নিজেদের অবস্থানে কিন্তু অনড় মোর্চা। গোর্খাল্যান্ডকে সামনে রেখেই যে তাঁরা জিটিএ চুক্তি সই করেছেন, এদিনও সেকথা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি মোর্চা নেতা রোশন গিরি। সমস্যা তৈরি হয়েছে ডুয়ার্স আর সমতলেও। সেখানে জিটিএর ধাঁচে নতুন করে এটিএ তৈরির দাবিতে সরব হয়েছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে মোর্চার সঙ্গে জিটিএ গঠন নিয়ে চুক্তি করেছে রাজ্য সরকার। পাহাড় সফরে গিয়ে সেই চুক্তি রূপায়ণের কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। সেইসঙ্গে জিটিএ-তে গোর্খাল্যান্ড শব্দের উল্লেখ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে ফের অখণ্ড রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরেও গোর্খাল্যান্ডের কাঁটা রয়েই গেল। কারণ মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ছাড়ার আগেই ফের মোর্চা নেতারা জানিয়ে দিলেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাঁরা অনড়। মঙ্গলবার ম্যালের অনুষ্ঠানে
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যতক্ষণ মঞ্চে ছিলেন, ততক্ষণ একবারও গোর্খাল্যান্ডের প্রসঙ্গ তোলেননি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। কিন্তু অনুষ্ঠানের পরে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি স্পষ্ট বলেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবি সামনে রেখেই তাঁরা জিটিএ চুক্তিতে সই করেছেন। সেই দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না। পাহাড়ে যখন গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মোর্চা নেতারা, সেই সময় সমতলেও অশনি সঙ্কেত। মঙ্গলবারই জিটিএ-র আদলে এটিএ গঠনের দাবিতে সরব হয়েছেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতারা। বুধবার ডুয়ার্সে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সফরের চব্বিশ ঘণ্টা আগেই এটিএ-র দাবি ওঠায় সরকারের অস্বস্তি বাড়ল নিঃসন্দেহে। জিটিএ-তে তরাই ও ডুয়ার্সের অন্তর্ভূক্তির দাবি থেকে এখনও সরেনি মোর্চা। আবার পৃথক গোর্খাল্যান্ডও যে তাঁদের কোর ইস্যু, তা-ও গোপন করছেন না মোর্চা নেতারা। আবার সমতলেও আদিবাসী বিকাশ পরিষদ মোর্চার পাল্টা অবস্থান নিয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলে তাই বড় চ্যালেঞ্জের সামনে সরকার।

.