শুধু সলমন নন, কৃষ্ণসার শিকার করেছিলেন সইফের বাবা মনসুরও
জানেন কি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়িয়েছিল সইফ আলি খানের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদিরও।
নিজস্ব প্রতিবেদন : হরিণ হত্যা মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সলমন খানকে। ১৯৯৮ সালের ঘটনায় সলমন খানকে অভিযুক্ত করা হলেও, সইফ আলি খান, তব্বু, নীলম এবং সোনালী বেন্দ্রে-কে বেকসুর ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, জানেন কি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়িয়েছিল সইফ আলি খানের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদিরও।
আরও পড়ুন : জেলের মধ্যেই কিছুই খেলেন না সলমন, হাজতবাসের প্রথম রাত কাটল মেঝেতে শুয়ে
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০০৫ সালে হরিয়ানার ঝাঝর জেলায় শিকারে যান মনসুর আলি খান পতৌদি।ওই সময় তাঁর সঙ্গে শিকারিদের আরও ৬টি দল ছিল।মনসুর আলি খানদের গাড়ি যে রাস্তা দিয়ে যায়, সেখানে একটি কৃষ্ণসার হরিণ এবং একটি খরগোসকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।শুধু তাই নয়, একটি ২২ বোরের রাইফেল দিয়ে ওই কৃষ্ণসার হরিণটিকে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়।এবং ওই হরিণটিকে সইফ কন্যা সোহা আলি খানের রাইফেল দিয়েই হত্যা করা হয় বলে জানানো হয় পুলিসের তরফে।কৃষ্ণসার হত্যার অভিযোগেই এরপর ২০০৯ সালে এরপর গুরগাঁও-এর জেলাশাসক সোহা আলি খানের রাইফেলের লাইসেন্স বাতিল করে।
আরও পড়ুন : রাতে রুটি, ছোলার ডালে আপত্তি, সকালে চা, ডালিয়াও খেলেন না সলমন
ওই ঘটনার পর ২০১৫ সালে ফরিদাবাদে একটি বিশেষ আদালতের তরফে পতৌদিদের সঙ্গে থাকা শিকারী দলের ৬ জনকে অভিযুক্ত করে।তাঁদের ৩ বছরের হাজতবাসেরও নির্দেশ দেয় আদালত।কিন্তু, শুনানি চলাকালীন ২০১১ সালে মৃত্যু হয় মনসুর আলি খান পতৌদির।সইফ আলি খানের বাবার মৃত্যুর পরই এরপর ওই মামলা থেকে মুছে দেওয়া হয় টাইগারের নাম।
অর্থাত, ১৯৯৮ সালে সলমন খানদের হরিণ শিকার মামলা শুরু হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই ফের কৃষ্ণসার শিকার মামলায় নাম সইফ আলি খানের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির।