সুপ্রিয়া দেবী গড়পরতা বাঙালিদের মতো নন, তিনি চির অকপট
সেসময়কার নায়িকা হয়েও সুপ্রিয়া দেবীর জীবন ছিল খোলা পাতার মতো। ভীষণই আধুনিক ছিলেন বেণুদি (সুপ্রিয়া দেবী)। ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে খোলামেলা সুপ্রিয়াদেবীকে নিয়ে অনেক কথাই ভাগ করে নিলেন চিত্রনাট্যকার শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সেসময়কার নায়িকা হয়েও সুপ্রিয়া দেবীর জীবন ছিল খোলা পাতার মতো। ভীষণই আধুনিক ছিলেন বেণুদি (সুপ্রিয়া দেবী)। ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে খোলামেলা সুপ্রিয়াদেবীকে নিয়ে অনেক কথাই ভাগ করে নিলেন চিত্রনাট্যকার শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর কথায়, সাধারণত ''বাঙালি তাঁর আত্মজীবনীতে প্রেম, যৌন জীবন, যৌন প্রবণতা, স্ক্যান্ডেল লুকিয়ে যায়। কিন্তু সুপ্রিয়াদেবী অকুতোভয়, খোলামেলা। বাংলা ভাষায় লেখা আত্মজীবনী 'আমার জীবন, আমার উত্তম'-এ সুপ্রিয়াদেবী তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অত্যন্ত খোলামেলা কথা বলেছেন। এক্কেবারে গলফ প্লেয়ারদের মতো একটা করে মারছেন, আর সেটা যে কোথায় গিয়ে পড়ছে কেউ জানে না। বাঙালি মাত হয়ে যাচ্ছে। এমনকী বইটার শেষের দিকে উত্তমকুমারের লেখা অত্যন্ত ব্যক্তিগত চিঠিও রয়েছে। যেখানে উত্তম কুমার অত্যন্ত আদরনীয় বিশেষণে সুপ্রিয়া দেবীকে ডাকছেন। ওই চিঠিতে সু্প্রিয়া দেবীর শরীর, রাতের পোশাক নিয়ে মহানায়কের মতামত, রয়েছে সবকিছু। এতটা খোলামেলা সাধারণত হলিউডের অভিনেত্রীদেরই দেখি। আমার তো বইটা পড়ে মনে হয় হলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন সুজানের 'ভ্যালি অফ দ্যা ডলস'-এর মতো কিছু পড়ছি।''
সাংবাদিক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, সুপ্রিয়া দেবী সবাইকে নেমন্তন্ন করে খাওয়াতে ভালোবাসতেন। আর প্রায়শই তাঁর কথায় উঠে আসত উত্তম কুমারের প্রসঙ্গ। ''এমনকী সুপ্রিয়া দেবী যদি কাউকে চাও খাওয়ান. সেখানে একটা গার্নিসিং আছে। আর এই গার্নিসিং টা হল 'তোমার দাদার গল্প'। আর এই তোমার দাদার গল্পটা যাঁরা বেণু আন্টির মুখে শোনেননি, এই তাঁরা ভাবতেই পারবেন না তোমার দাদা কী ডেঞ্জারস জিনিস। (হাসতে হাসতে) তিনি যে কখন কী বললেন খানিকটা রিচার্ড বার্টন এলিজাবেথ টেইলর-এর মতন। ''
আরও পড়ুন- উত্তম কোনও মেয়ের দিকে তাকালেই বেণু চোখ চেপে ধরত : ললিতা চট্টোপাধ্যায়