যৌন হেনস্থার সুবিচারে নানার নারকো ও লাই ডিটেকর টেস্টের দাবি তনুশ্রীর
২০০৮ সালে 'হর্ন ওকে প্লিজ' ছবির সেটে শ্যুটিং চলাকালীন তাঁকে নানা পাটেকর যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তনুশ্রী দত্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যৌন হেনস্থার ঘটনায় সুবিচারের জন্য নানা পাটেকর-সহ অন্য অভিযুক্তদের লাই ডিটেকটর টেস্ট, নারকো ও ব্রেইন ম্যাপিংয়ের দাবি করলেন তনুশ্রী দত্ত। ওসিয়ারা পুলিসের কাছে আইনজীবী নিতিন সতপুতের মাধ্যমে এই মর্মে আবেদন করেছেন অভিনেত্রী।
২০০৮ সালে 'হর্ন ওকে প্লিজ' ছবির সেটে শ্যুটিং চলাকালীন তাঁকে নানা পাটেকর যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তনুশ্রী দত্ত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে নানা পাটেকর, নৃত্য নির্দেশক গণেশ আচার্য, প্রযোজক সামি সিদ্দিকি ও পরিচালক রাকেশ সারাঙের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা (জোর করে মহিলার সম্মানহানি) ও ৩৫৯ ধারায় (শব্দ, অঙ্গিভঙ্গি বা ইঙ্গিতের মাধ্যমে মহিলার সম্মানহানি) মামলা দায়ের করেছে ওসিয়ারা পুলিস। তনুশ্রীর আইনজীবী সতপুতে শনিবার জানিয়েছেন, নানা পাটেকর, গণেশ আচার্য, সিদ্দিকি ও সারাঙ-সহ মিথ্যা সাক্ষীদের গ্রেফতারি চাইছেন তাঁর মক্কেল।
তনুশ্রী দত্ত আবেদনে উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্তরা উচ্চবিত্ত ও প্রভাবশালী, তাঁদের রাজনৈতিক যোগও রয়েছে। ফলে সাক্ষীদের উপরে চাপ সৃষ্টি অথবা ভয় দেখাতে পারেন তাঁরা। সতপুতের দাবি, ২০০৮ সালের ঘটনার অনেকেই সাক্ষী। তবে অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে সামনে আসতে পারছেন না তাঁরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির পরই তাঁরা জবানবন্দি দিতে ভরসা পাবেন।
নানার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে মহারাষ্ট্রের মহিলা কমিশন ও কর্মস্থলে মহিলাদের যৌন হয়রানি সংক্রান্ত বিভাগের ডেপুটি জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তনুশ্রী দত্ত।
তনুশ্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নানা পাটেকর। গত শনিবার তিনি দাবি করেছিলেন, ''ঘটনাটি ১০ বছর আগের। তখনই এব্যাপারে বলেছিলাম। এতবছরে মিথ্যা তো আর বদলাবে না''।
আরও পড়ুন- শরীরের উর্ধাংশে পোশাক নেই কেন? নোংরা আক্রমণ কাজলের বোন তানিশাকে