সেনার গুলিতে যুবকের মৃত্যু, ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর

বারামুলায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে ফের উত্তেজনার আঁচ ভূস্বর্গে। শনিবার সকাল থেকেই উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন করে অশান্তির খবর মিলতে শুরু করেছে।

Updated By: Feb 11, 2012, 12:15 PM IST

বারামুলায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে ফের উত্তেজনার আঁচ ভূস্বর্গে। শনিবার সকাল থেকেই উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন করে অশান্তির খবর মিলতে শুরু করেছে। চলছে, বিক্ষোভ, জমায়েত, নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা।
গতকাল রাত ন`টা নাগাদ বারামুলা জেলার রফিয়াবাদ এলাকার লেসার গ্রামে নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আশিক হুসেন নামে ২২ বছরের এক যুবক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস-এর টহলদার বাহিনীর জওয়ানরা বিনা প্ররোচনায় গুলি করে মারে আশিককে। এই ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপত্যকা। শুরু হয় বিক্ষোভ, পথ অবরোধ। ২০১০ সালের জুন মাসে কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনা বাহিনীর গুলিতে তিন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর। পরবর্তী কয়েক মাসের ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। এবার যাতে পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করে পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি সাধারণ নাগরিকদের উত্তেজিত করতে না পারে, সে জন্য দ্রুত তত্‍পরতা শুরু করেছে ওমার আবদুল্লা সরকার ও কেন্দ্র। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি সেনা ও আধা সামরিক জওয়ানদের সংযম বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেনা বাহিনীর তরফে এদিন বারামুলা কাণ্ডের দায় স্বীকার করা হয়েছে। সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা আগাম খবরের ভিত্তিতে জঙ্গিদের খোঁজে রফিয়াবাদ এলাকায় তল্লাসি অভিযানে গিয়েছিলেন। সেখানে ভুল বোঝাবুঝির কারণে গুলিতে মৃত্যু হয় আশিকের। জঙ্গি নেতা মকবুল বাটের ফাঁসির ২৮ তম বর্ষপূর্তির উপলক্ষ্যে এদিনই উপত্যকায় বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। অন্যদিকে এই আইনশৃঙ্খলা-সঙ্কটের মধ্যেই নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট সরকার। নিজের ছেলেকে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় টোকাটুকির সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে বিরোধীদের চাপের মুখে ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী পিরজাদা মহম্মদ সইদ।

.