টয়লেট সিটের চেয়েও বেশি জীবাণু থাকে মোবাইলে

টয়লেট সিটের চেয়েও বেশি জীবাণু থাকে মোবাইলে। পুণের বিজ্ঞানীরা এবার হদিশ পেলেন নতুন প্রজাতির ৩ ধরনের অনুবীক্ষণ জীবের। মোবাইল স্ক্রিনে বেড়ে ওঠে এই জীবাণু। যথেষ্ট উদ্বেগজনক এই তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।প্রযুক্তির হাত ধরে দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বিপদ।ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেল সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।মোবাইলের স্ক্রিনে বেড়ে ওঠে ৩ ধরনের জীবাণু। ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস। প্রায় ৩০টি মোবাইল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন পুণের বিজ্ঞানীরা। তা থেকে ৫১৫ রকম ব্যাকটেরিয়া ও ২৮ রকমের আলাদা আলাদা ফাঙ্গাসের সন্ধান পান তাঁরা।আধুনিক গবেষণা বলছে, জীবাণু সংক্রমণের ক্ষেত্রে মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলি একেবারের আদর্শ। হাইজিনের মাপকাঠিতে মোবাইল ফোন বাড়ির শৌচালয়ের থেকেও বেশি দূষিত। মুঠোফোনে টয়লেট সিটের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে ব্যবহারকারীদের বমি বমি ভাব এবং পেটের সমস্যা দেখা দেয়।মোবাইল হ্যান্ডসেটকে কখনই জীবাণুমুক্ত করা হয় না। শরীরের ঘাম থেকেও মোবাইলে জীবাণু ঢুকে পড়ে। পৃথিবীর যে কোনও দেশে যে কোনও আবহাওয়ায় মোবাইল ফোন থাকে। রান্নাঘর থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। সর্বত্রই মুঠোফোনের অবাধ গতি। তাই যে কোনও পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে জীবাণু। তাদের নির্মূল করাও কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি,

Updated By: Mar 5, 2017, 09:49 PM IST
টয়লেট সিটের চেয়েও বেশি জীবাণু থাকে মোবাইলে

ওয়েব ডেস্ক: টয়লেট সিটের চেয়েও বেশি জীবাণু থাকে মোবাইলে। পুণের বিজ্ঞানীরা এবার হদিশ পেলেন নতুন প্রজাতির ৩ ধরনের অনুবীক্ষণ জীবের। মোবাইল স্ক্রিনে বেড়ে ওঠে এই জীবাণু। যথেষ্ট উদ্বেগজনক এই তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।প্রযুক্তির হাত ধরে দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বিপদ।ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেল সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।মোবাইলের স্ক্রিনে বেড়ে ওঠে ৩ ধরনের জীবাণু। ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস। প্রায় ৩০টি মোবাইল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন পুণের বিজ্ঞানীরা। তা থেকে ৫১৫ রকম ব্যাকটেরিয়া ও ২৮ রকমের আলাদা আলাদা ফাঙ্গাসের সন্ধান পান তাঁরা।আধুনিক গবেষণা বলছে, জীবাণু সংক্রমণের ক্ষেত্রে মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলি একেবারের আদর্শ। হাইজিনের মাপকাঠিতে মোবাইল ফোন বাড়ির শৌচালয়ের থেকেও বেশি দূষিত। মুঠোফোনে টয়লেট সিটের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে ব্যবহারকারীদের বমি বমি ভাব এবং পেটের সমস্যা দেখা দেয়।মোবাইল হ্যান্ডসেটকে কখনই জীবাণুমুক্ত করা হয় না। শরীরের ঘাম থেকেও মোবাইলে জীবাণু ঢুকে পড়ে। পৃথিবীর যে কোনও দেশে যে কোনও আবহাওয়ায় মোবাইল ফোন থাকে। রান্নাঘর থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। সর্বত্রই মুঠোফোনের অবাধ গতি। তাই যে কোনও পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে জীবাণু। তাদের নির্মূল করাও কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি,

আরও পড়ুন রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য বিলের সমালোচনায় সরব চিকিত্‍সক সংগঠন

মোবাইলের স্ক্রিনে বেড়ে ওঠা ব্যাকটেরিয়াগুলোর বেশিরভাগই অবশ্য ব্যবহারকারীদের জন্য ক্ষতিকর নয়।কিন্তু এ ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো বারবার হাতবদল হওয়ায় ব্যবহারকারীদের শরীরের জীবাণু একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে। আর মোবাইল হাতের মুঠোয় এবং মুখের কাছাকাছি নিয়ে ব্যবহারের ফলে ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই সংক্রমিত হয়। তাই মুঠোফোন  জীবাণুমুক্ত রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন  গরমকালে ব্রণ-অ্যাকনের হাত থেকে বাঁচতে কী করবেন জেনে নিন

.