পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে কয়েকটি জরুরি পরামর্শ
আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাম্প্রতিককালে পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ি পুরুষেরাই। পিতৃত্ব সুখ পেতে চাইলে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত। ধূমপান, মদ্যপানের মতো কুঅভ্যাস শুক্রাণুর সংখ্যা বা তার উত্পাদনের ওপর প্রভাব ফেলে। তবে শুধু ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাসই নয়, বন্ধ্যাত্বের সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। রোজকার অনিয়ন্ত্রিত ভুরিভোজ ওজন বাড়িয়ে দেয়। সঠিক ডায়েট মেনে না চললে বা ওজন কমানোর তাগিদ না থাকলে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ সবল প্রজনন ক্ষমতা বা যৌন ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরুষদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে গেলে স্বাভাবিক ওজন এবং নীরোগ শরীর চাই। অতিরিক্ত বা কম ওজন সন্তান ধারণের পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখতে পুষ্টিকর খাবার খান। যেমন, মাত্রাতিরিক্ত তেলেভাজা বা মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রিজারভেটিভ, কৃত্রিম রং ও গন্ধ যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন: পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে অন্তর্বাস!
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং বিভিন্ন অ্যান্টি অক্সিডেন্টও বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। বাদাম, তিল, তিসি এবং মাছের তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন মাছ খান। এ ছাড়াও রান্নায় তিল ব্যবহার করতে পারেন।
মৌসুমি ফল বা সবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। তরমুজ, আপেল, আম, পেয়ারা, আঙুর ইত্যাদি ফল ও বাঁধাকপি, ঢ্যাঁড়স, কুমড়ো ইত্যাদি সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই খাদ্য উপাদানগুলি নিয়মিত পাতে রাখুন। পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে আমন্ড বাদাম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। সকালে জলখাবারের সঙ্গে গোটা তিন-চারেক আমন্ড খান। উপকার পাবেন।
মহিলা-পুরুষ উভয়েরই ক্ষেত্রেই ভিটামিন-ই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ভিটামিন-ই প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রয়োজনীয় হরমোনের নিঃসরণে সাহায্য করে। টক দই, ইস্ট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই রয়েছে। তাই পাতে রাখুন ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার।