প্লাস্টিকের বোতলের জলে বিপদ, তেষ্টা মেটান ওহোতে
প্লাস্টিকের বোতলে জল খেলেই বিপদ। বারবার ব্যবহার করা প্লাস্টিকের বোতলে জমতে থাকে মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া। সেই জীবাণু ঢুকে পড়ে আমাদের শরীরে। সমস্যা মেটাতে এসে গেল ওহো।
ওয়েব ডেস্ক : প্লাস্টিকের বোতলে জল খেলেই বিপদ। বারবার ব্যবহার করা প্লাস্টিকের বোতলে জমতে থাকে মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া। সেই জীবাণু ঢুকে পড়ে আমাদের শরীরে। সমস্যা মেটাতে এসে গেল ওহো।
জলের বুদবুদ। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যাবে এই বুদবুদ। জল তেষ্টা পেলে মুখে ফেলে দিলেই হল। তেষ্টা মিটবে। জীবাণু সংক্রমণেরও ভয় নেই। গবেষণা বলছে, পানীয় জলের জন্য যে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি দেখতে পরিষ্কার লাগলেও, মোটেই তা পরিষ্কার নয়। অনেক সময়েই একই বোতল সপ্তাহের পর সপ্তাহ বা মাসের পর মাস ব্যবহার করা হয়। গবেষকরা বলছেন, এই সব বোতলই সবচেয়ে ক্ষতিকর। প্রায় ৩ লক্ষ ব্যাকটেরিয়ায় সৃষ্টি হয় প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে। ওই বোতলে জল খাওয়া মানে কোনও টয়লেট সিট চাটার সমান। ৩ ধরনের বোতলের ওপর পরীক্ষা করা হয়। প্যাঁচ লাগানো বোতল, স্লাইড করা ছিপি লাগানো বোতল ও স্ট্রয়ের মতো ছুঁচলো বোতল। স্লাইড করা ছিপি লাগানো বোতলেই সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে।
তাহলে উপায়? এসে গেছে ওহো। কী এই ওহো? লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের স্কিপিং ল্যাবে গবেষণা করতে করতে রডরিগো গার্সিয়া, পিয়েরি পাসলিয়র ও গুইলামি কৌচে বানিয়ে ফেলেছেন ওহো। দেখতে জলের বুদবুদের মতো। প্লাস্টিকের বোতলের বদলে এই বুদবুদগুলি নিয়ে বেড়ানো যাবে রাস্তাঘাটে। তেষ্টা পেলে খাওয়া যাবে জলের ওই বুদবুদগুলোই। প্লাস্টিক থেকে দূষণ কমবে। তেমনই ক্ষতিকর পদার্থও কম ঢুকবে শরীরে।
কীভাবে তৈরি হয় এই ওহো? সোডিয়াম অ্যালগিনেট দিয়ে তৈরি দুটো পাতলা পর্দা। সামুদ্রিক ব্রাউন অ্যালগি ও ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দিয়ে তৈরি হয় এই সোডিয়াম অ্যালগিনেট। এই পাতলা পর্দার মধ্যে থাকে তরল জল। সম্পূর্ণ বুদবুদটাকেই জেলিফিকেশন করা হয়। এই সময় জলের মধ্যে এডিবল জেলিং এজেন্টও দেওয়া হয়। প্রতি ওহোয় থাকে ২৫০ মিলিলিটার জল। খেতে সাধারণ জলের মতোই। তবে নানারকম ফ্লেভারও যোগ করা যায়। ওহো তৈরির খরচ প্লাস্টিক বোতলের চেয়ে অনেক কম।
আরও পড়ুন, সব ব্যথা নিমেষে ভ্যানিশ হয়ে যাবে 'পঞ্চকর্মা'র জাদুতে