ঘন ঘন পিঠে, কোমরে ব্যথা হচ্ছে? অস্টিওপোরোসিস নয় তো?

অস্টিওপোরোসিস হাড়ের একটি বিশেষ রোগ। মহিলাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি।

Updated By: Jul 5, 2018, 11:12 AM IST
ঘন ঘন পিঠে, কোমরে ব্যথা হচ্ছে? অস্টিওপোরোসিস নয় তো?

নিজস্ব প্রতিবেদন: অসুখ-বিসুখ কার না হয়? তবে আমাদেরও অসুখ-বিসুখ প্রতিকারের চেষ্টা করতে হবে। অসুখের লক্ষণগুলি যদি আমরা আগে থেকে বুঝতে পারি, তা হলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিকার করা সম্ভব। আবার এ কথাও ঠিক, ছোট ছোট কিছু বিষয় মেনে চলতে পারলে অনেক শারীরিক সমস্যাকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কোনও সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আজ আলোচনা করা যাক অস্টিওপোরোসিস নিয়ে। অস্টিওপোরোসিস হাড়ের একটি বিশেষ রোগ। মহিলাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। এই রোগ প্রতিরোধ করতে প্রথম থেকেই সাবধান হওয়া জরুরী।

অস্টিওপোরোসিস-এর লক্ষন:

অস্টিওপোরোসিস নিঃশব্দে ক্ষতি করে। তাই প্রথম থেকে লক্ষন বোঝা মুশকিল। তবুও সব সময় সজাগ থাকুন। ঘন ঘন পিঠে ব্যথা হলে, পেশিতে যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দাঁতে ক্ষত হলে কিংবা কম সময়ের ভেতর অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে গেলে সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে শিরদাঁড়ায় আকারগত পরিবর্তন হলে বা ব্যাথা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুন: আপনার মুখের ঘা কোনও মারণব্যধির সংকেত নয় তো!

কাদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিস-এর ঝুঁকি বেশি?

• যাঁদের বয়স ৪০ এর বেশি তাঁদের অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজের পর শরীর থেকে ইস্ত্রোজেন হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন এই অসুখ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

• পরিবারে কারও, বিশেষ করে মায়ের যদি এই রোগ থাকে তাহলে এই অসুখ হবার সম্ভাবনা থাকে। যাঁরা রোদে কম বের হন তাঁদেরও এই অসুখ হতে পারে।

• রোগা ও কম উচ্চতার মহিলাদের শরীরের হাড় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্বল হয়। ফলে অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

• যাঁরা ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহন করে তাঁদের এই রোগ হতে পারে। কারণ, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল শরীর থেকে ক্যালসিয়াম কমিয়ে দেয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: দিনে কত বার মুখ ধোয়া জরুরি আর কখন ক্ষতিকর জানেন?

কি করবেন?

• পায়ের পাতা, হিপ বোন বা মেরুদণ্ডে ব্যাথা হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

• সামান্য ব্যথা হলেও ফেলে রাখবেন না।

 • চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ভিটামিন–ডি ও ক্যালসিয়াম খান।

• নিয়মিত শরীর চর্চা করুন।

• খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমানে সবুজ শাকসবজি, ফল, ডাল, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার রাখুন।

.