সৌমিত্রর পর বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে তাঁর বন্ধু সাংসদও!

বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন সৌমিত্র খাঁ।

Updated By: Jan 9, 2019, 08:41 PM IST
সৌমিত্রর পর বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে তাঁর বন্ধু সাংসদও!

কমলিকা সেনগুপ্ত

একই দিনে দুই সাংসদ! বেনজিরভাবে দুই সাংসদকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। বঙ্গীয় রাজনীতি তো বটেই, দেশের রাজনীতিতেও এমন নজির নেই বললেই চলে। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর এক পা বাড়িয়ে রয়েছেন তাঁর বন্ধু বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা। 

বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন সৌমিত্র খাঁ। এর মধ্যেই ফেসবুকে চলছিল বিতর্কিত পোস্ট। মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক লাইভে সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করেন, লোকসভার প্রার্থী হওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছেন সুকমল দাস। তাঁর আপ্তসহায়কের খোঁজ মিলছে না। তৃণমূল সাংসদের দাবি, তাঁর আপ্তসহায়ককে অপহরণ করেছেন সুকমল দাস। এব্যাপারে পুলিস সুপারের কাছে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও নালিশের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।বিষ্ণুপুরের সাংসদ আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সুকমল। দিন কয়েক আগে আর একটি বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ।  ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেছিলেন, “ অয়েলিং ইজ দ্য বেস্ট পলিসি ফর ইজ ওন এক্সিসটেন্স ইন পলিটিক্স।” যার মানে, 'রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে তেল দিতেই হবে।' অনেকেই বলছেন, আসন্ন লোকসভা ভোটে সৌমিত্র খাঁ যে টিকিট পাচ্ছেন না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন সৌমিত্র। আর সে কারণেই বিজেপিতে ঝাঁপ দিলেন তিনি। বলে রাখি, একসময় মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সৌমিত্র। 

     

অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁয়ের বন্ধু সাংসদ অনুপম হাজরা দীর্ঘদিন ধরেই ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। যা আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিচ্ছিল, ভাল নেই বোলপুরের সাংসদ। এদিন সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতে যোগদানের পর অনুপমের একটা টুইটেই বহিষ্কৃত হতে হল তাঁকে। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ''চার বছরে জেলায় একটাও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়েও জেলায় রাজনৈতিক পঙ্গু হয়েও দিদির প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি আর তুই পারলি না। যাই হোক। ভাল থাকিস বন্ধু''। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অনুপমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁকেও দলে টানতে পারে গেরুয়া শিবির।               

  

তৃণমূল সূত্রে খবর, সৌমিত্র খাঁ ও অনুপম হাজরাকে টিকিট দেওয়া হত না। সাংগঠনিকভাবে কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁর এলাকায় থাকেন না। কিন্তু ঘটনা হল, লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের দুই সাংসদ ভাঙিয়ে নিতে পারলে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ পাবে বিজেপি।   

আরও পড়ুন-  পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের ব্যবস্থা কেন্দ্রের, মুসলিমদের সামিলের দাবি তৃণমূলের

.