অশোকের 'রুদ্র রূপে' ব্যাকফুটে শঙ্কুর 'পণ্ডারাজ'

একাধিক অভিযোগ। আর সে জন্যই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। হাত বদল হয়। অশোক রুদ্রর এখন টিএমসিপি সভাপতি। কিন্তু এ কয়েক মাসে শঙ্কুর রুদ্রমূর্তিকে ছাপিয়ে গিয়েছে অশোকের পাণ্ডাগিরি। দুহাজার দশ। লোকসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্য তৃণমূল কংগ্রেসের। পরিবর্তনের হাওয়ায় রাজ্যের কলেজে কলেজে ওল্টাতে শুরু করেছে ছাত্র সংসদগুলি। তখনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্বে আসেন তরুণ নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।

Updated By: Aug 8, 2015, 11:52 PM IST
অশোকের 'রুদ্র রূপে' ব্যাকফুটে শঙ্কুর 'পণ্ডারাজ'
photo courtesy: Wikipedia

ব্যুরো: একাধিক অভিযোগ। আর সে জন্যই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। হাত বদল হয়। অশোক রুদ্রর এখন টিএমসিপি সভাপতি। কিন্তু এ কয়েক মাসে শঙ্কুর রুদ্রমূর্তিকে ছাপিয়ে গিয়েছে অশোকের পাণ্ডাগিরি। দুহাজার দশ। লোকসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্য তৃণমূল কংগ্রেসের। পরিবর্তনের হাওয়ায় রাজ্যের কলেজে কলেজে ওল্টাতে শুরু করেছে ছাত্র সংসদগুলি। তখনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্বে আসেন তরুণ নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।

ছাত্র সংগঠনকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, তা অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শঙ্কুদেব। সংগঠন শক্তিশালী করতে কী নীতি হতে পারে, তা সম্ভবত বুঝে গিয়েছিলেন শঙ্কুদেবের অনুগামীরা। তাঁদের মাথায় ছিল শঙ্কুর স্নেহের হাত। কখনও তাঁদের বিরুদ্ধে রা কাড়েননি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তত্কালীন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতারা। আর দুহাজার এগারোয় তৃণমূল ক্ষমতা দখলের পর? ফুল ফর্মে নেমে পড়েন শঙ্কুদেব এবং তাঁর বাহিনী।

শঙ্কুদেবের জামানায় একাধিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে শিক্ষাঙ্গন।

গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন পুলিস কনস্টেবল।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঘর ভাঙচুর।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর।

বিদ্যাসাগর কলেজে ভাঙচুর।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে ঘেরাও।

অস্বস্তিটা বাড়ছিলই। দলের অন্দরে তাই শঙ্কুদেব পণ্ডাকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শটা নেত্রীর কানে অনেকেই তুলছিলেন। শেষ পর্যন্ত দুহাজার চোদ্দ সালের অক্টোবরে শঙ্কুদেবকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অশোক রুদ্রকে। তবে এ কয়েক মাসে শঙ্কুদেবের রুদ্রমূর্তিকে ছাপিয়ে গিয়েছে অশোকের পাণ্ডাগিরি। তাঁর জমানায় বহিষ্কৃত হয়েছেন সতেরজন টিএমসিপি নেতা-কর্মী।

মালদায় কলেজে হামলা, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর।

আসানসোলে থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি টিএমসিপি নেতার।  

মালদায় শিক্ষিকা ধর্ষণ করার হুমকি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীর।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক এবং শিক্ষাকর্মীদের বিক্ষোভে দাদাগিরি।

এ ঘটনাগুলি তো আছেই, সব থেকে বড় বিষয় হল, অশোক রুদ্রের জামানায় টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ উঠেছে কলেজগুলিতে। সুরেন্দ্রনাথ কলেজে এর প্রতিবাদে আত্মঘাতী হয়েছে সোনারপুরের ছাত্রী। আর একেবারের সাম্প্রতিক সংযোজন সবংয়ে কলেজ ছাত্র খুন।

এরপরও দমেননি অশোক। পাণ্ডাগিরি অব্যাহত।

এরপর কী বলবেন তৃণমূল নেতারা?

 

.