নাড়িভুঁড়ি বের করে কেন মায়ের দেহ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে? জেমস লং সরণিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

শুভব্রতর সমস্ত কীর্তিকলাপ জানা ছিল তাঁর বাবা গোপাল মজুমদারেরও। তিনি বাবাকে ব্ল্যাকমেল করতেন। মায়ের কথা কাউকে জানালে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন বলে বাবাকে ভয় দেখাতেন শুভব্রত। তাই এই তিন বছর ধরে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনিও।

Updated By: Apr 5, 2018, 12:22 PM IST
নাড়িভুঁড়ি বের করে কেন মায়ের দেহ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে? জেমস লং সরণিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন:   মায়ের দেহ বুক থেকে পেট পর্যন্ত কেটেছিলেন ছেলে। সেখান থেকেই বার করে নেওয়া হয়েছিল দেহের যকৃত্, পাকস্থলী, নাড়িভুঁড়ি।  বেহালার জেমস লং সরণির ইঞ্জিনিয়ার ছেলে শুভব্রত মজুমদারের কীর্তি শিউরে ওঠার মতো।  

প্রসঙ্গত, বেহালার জেমস লং সরণিতে একটি বাড়ি থেকে ফ্রিজের মধ্যে থেকে প্রাক্তন এফসিআই কর্মী বীণা মজুমদারের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় অভিযোগের তির ওঠে ছেলে শুভব্রতর দিকে। তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন:  ৩ বছর ধরে মৃত মায়ের দেহ ফ্রিজারে রেখেছিল ছেলে, কাটা ছিল দেহের বুক থেকে পেট!

২০১৫ সালের এপ্রিলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শুভব্রতর মা বীণা মজুমদার। ৭ এপ্রিল মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু তারপর তাঁর দেহ সত্কার করা হয়নি। মায়ের দেহ ৩ বছর ধরে ফ্রিজে সংরক্ষিত করে রেখেছিলেন শুভব্রত। দেহে যাতে পচন না ধরে তাই নাড়িভুঁড়ি বার করে দেহে রাসায়নিক প্রয়োগ করা হত।

কিন্তু কেন এমনটা করলেন শুভব্রত?

শুভব্রতর দাবি, মাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন তিনি। মায়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। তাছাড়া তিনি মনে করেন, মানুষের কোষের মৃত্যু হয় না। কোষ বাঁচিয়ে রাখা মানেই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা। তাই মায়ের দেহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: অফিসের নাম করে ডাক্তারের বাড়ি ভাড়া নিয়েই চলত আসল কাজ

শুভব্রতর সমস্ত কীর্তিকলাপ জানা ছিল তাঁর বাবা গোপাল মজুমদারেরও। তিনি বাবাকে ব্ল্যাকমেল করতেন। মায়ের কথা কাউকে জানালে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন বলে বাবাকে ভয় দেখাতেন শুভব্রত। তাই এই তিন বছর ধরে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনিও।

আরও পড়ুন: চরমে রাজ্য - রাজ্যপাল সংঘাত, সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে পালটা পার্থ

কিন্তু তাতেও থেকে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। মায়ের পেনশনের টাকা তুলতেই কি শুভব্রত এই ছক কষেছিলেন?  লেদার ইঞ্জিনিয়ার শুভব্রত একটি বেসরকারি কোম্পানিতে উচ্চপদে মোটা বেতনের চাকরি করতেন।  তিনি কেন এই কাজ করতে যাবেন? উত্তর খুঁজছে পুলিস।

.