অ্যাসিড টেস্ট বিধাননগর পুরভোট: রিস্ক ফ্যাক্টর কমাতে তৃণমূলের ভরসা বহিরাগতরা, শাসকের ভোট ম্যানেজারের নয়া স্ট্র্যাটেজি, অভিযোগ বিরোধীদের

জোড়া কাঁটায় বিধাননগরে রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক শিবির। রিক্স ফ্যাক্টর কমাতে ভরসা বহিরাগতরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বহিরাগতদের দিয়ে বিধাননগরে শাসকদলের ভোট ম্যানেজের নয়া স্ট্রাটেজি তৈরি।   

Updated By: Oct 2, 2015, 08:34 PM IST
অ্যাসিড টেস্ট বিধাননগর পুরভোট: রিস্ক ফ্যাক্টর কমাতে তৃণমূলের ভরসা বহিরাগতরা, শাসকের ভোট ম্যানেজারের নয়া স্ট্র্যাটেজি, অভিযোগ বিরোধীদের

ব্যুরো: জোড়া কাঁটায় বিধাননগরে রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক শিবির। রিক্স ফ্যাক্টর কমাতে ভরসা বহিরাগতরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বহিরাগতদের দিয়ে বিধাননগরে শাসকদলের ভোট ম্যানেজের নয়া স্ট্রাটেজি তৈরি।   

লোকসভা ভোটের নিরিখে বিধাননগরে বিজেপির কাছে পিছিয়ে তৃণমূল। গোদের ওপর বিষফোঁড়া সিন্ডিকেটরাজ আর গোষ্ঠীকোন্দল। বিধাননগর পুরভোট তাই এবার শাসক শিবিরের  অ্যাসিড টেস্ট। 

ভোটের আগে তাপস চ্যাটার্জিকে দলে টানা বুমেরাং হয়েছে। লালদুর্গে ফাটল ধরানোর বদলে বেড়েছে দলীয় কোন্দল। সিন্ডিকেটরাজের অভিযোগ উঠেছে ৩নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ডাম্পি মণ্ডলের বিরুদ্ধে ।  ঘাসফুল শিবিরের আরেক কাঁটা   সিন্ডিকেট মাফিয়া ভজাই সর্দারের ছেলে ২৭ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রসেনজিত্‍ সর্দার। প্রসেনজিতকে প্রার্থী করায়  ক্ষোভ দলের অন্দরেই। অনুপম দত্তের সঙ্গে টক্করে চাপে ৪১ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও।

অ্যাসিড টেস্ট বিধাননগর পুরভোটে ঘরে-বাইরে চাপে জেরবার ঘাসফুল শিবির বিধাননগরে কোনও রিস্ক নিতে রাজি নয়।  অভিযোগ, ভোট ম্যানেজের জন্য বহিরাগতদের নিয়ে তৈরি হয়েছে মাস্টার প্ল্যান।

ভোট ম্যানেজের ব্লুপ্রিন্ট। চারটি জায়গা থেকে সল্টলেক-রাজারহাট-নিউটাউনে লোক ঢোকানোর পরিকল্পনা হয়েছে।

উত্তর দমদম, হাবরা-অশোকনগর, ভাঙর ও ব্যারাকপুর। ভোটের দিন সকালে এই চার জায়গা থেকে বহিরাগতদের সল্টলেকে ঢোকানোর পরিকল্পনা পাকা।  কিন্তু কীভাবে?

কীভাবে অপারেশন? অভিযোগ,  নির্বাচন কমিশনের নজর এড়াতে বাইক বা গাড়ি নয়, বাসে করে শহরে ঢুকবে বহিরাগতরা।  কীভাবে ব্যবহার করা হবে বাস? বিরোধীদের দাবি, ভোটের দিন সকালে বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বাসের রুট বদলের পরিকল্পনা পাকা

ভোট ম্যানেজারদের প্রথম পছন্দ JNNURM-র ডিজিটাল নম্বর প্লেটের বাস। প্রভাব খাটিয়ে দখল নেওয়া হবে বেসরকারি বাসেরও। 

অধিকাংশ বাসের রুট প্লেট বদলে দেওয়া হবে, যাতে কেউ সন্দেহ না করতে পারে। শুধু এই চার পয়েন্ট নয়। দমদম ও বিধাননগর স্টেশন থেকেও বহিরাগতদের বাসে করে সল্টলেক ঢোকানোর প্ল্যান ফাইনাল। বাস থেকে  নেমে পায়ে হেঁটেই তারা পৌছে যাবে অ্যাকশন স্পটে। তারপর ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী অপারেশন। ফেরার পথেও ভরসা সেই বাস। আর পাঁচজন যাত্রীর সঙ্গে মিশে পুলিস ও কমিশনের নজর এড়িয়ে কাজ হাসিলের নয়া টেকনিক ফাইনাল। 

তবে এলাকায় দাপট বজায় রাখতে বাইক বাহিনীও তৈরি। অভিযোগ, সল্টলেক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শাসকদলের বাইক বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে  অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হয় কিনা, তা অনেকটাই নির্বাচন কমিশনের পরিচালনার ওপর নির্ভর করছে।

 

.