বি সি রায় হাসপাতালে শিশুমৃত্যু: গঠিত হল তদন্ত কমিটি

বি সি রায় হাসপাতালে ফের শিশুমৃত্যু নিয়ে গঠিত হল তদন্ত কমিটি। হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে গঠিত ওই কমিটি স্বাস্থ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট দেবে। রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে স্বাস্থ্য দফতর নতুন করে কমিটি গঠন করতে পারে। জুন মাসে বিসি রায় হাসপাতালে দুদিনে উনিশটি শিশুমৃত্যুর পরও তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছিল। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, গত চারমাসেও পরিস্থিতি যে বিশেষ পাল্টায়নি তার প্রমাণ মিলল গত দুদিনে।

Updated By: Oct 26, 2011, 01:33 PM IST

তিনমাসের ব্যবধানে ফের ধারাবাহিক শিশুমৃত্যুর ঘটনা ফুলবাগানের ডক্টর বি সি রায় শিশু হাসপাতালে। গত ষোলো ঘণ্টায় সেখানে তেরোটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ৬টি এবং বুধবার সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত সাতটি শিশুর মৃত্যুতে নতুন করে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে এখানেই ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ২৩টি শিশুর। নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় আজ সকাল। সাড়ে ন'টায় দমদমের বাসিন্দা ছ মাসের শিশু আবীর মণ্ডলের মৃত্যু পর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে মৃত শিশুগুলির পরিবারের সদস্যদের। তাদের অভিযোগ দীপাবলির ছুটিতে হাসপাতালে নেই সিনিয়র ডাক্তাররা। তার বদলে চিকিত্সা চালিয়ে যাচ্ছেন নার্সরা। এর জেরেই একের পর এক শিশুমৃত্যু বলে পরিবারগুলির অভিযোগ। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নার্স, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী এবং বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে দূর্ব্যবহার এবং হেনস্থার শিকার হয়েছেন তারা, এমনই অভিযোগ রোগির বাড়ির লোকের। পরপর শিশু মৃত্যু হলেও হাসপাতালে দেখা মেলেনি সুপার, ডেপুটি সুপার বা মেডিক্যাল সুপারের। দীর্ঘক্ষণ পর হাসপাতালে পা রাখেন সুপার। তারপরই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বাড়ির লোকের। প্রথমে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ এবং পরে ফুলবাগানে পথ অবরোধ করেন মৃত শিশুগুলির বাড়ির লোকেরা। পরে উল্টোডাঙ্গা থানার পুলিস গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। হাসপাতালের বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ কার্যত  মেনে নিয়েছেন সুপার দিলীপ পাল। তবে বাড়ির লোকের প্রতি কেন কর্মীদের এই খারাপ ব্যবহার, তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তার যুক্তি, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রেফার হওয়ার পর এখানে শিশুদের আনা হয়। অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় যে যেসমস্ত শিশুরা আসেন, তাদের অবস্থা খুবই সঙ্গীন বা আশঙ্কাজনক থাকে। তবু ডাক্তাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন বলেই। তবু মাঝে মাঝে কাজের চাপে নার্সরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলায় দূর্ব্যবহার বা অন্যান্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে নার্সদের আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান সুপার। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা তাঁর কথা হবে।

.