কলিংবেল বাজিয়ে ভিতরে ঢুকল ওরা, গৃহবধূকে বাথরুমে আটকেই চলল অপারেশন
বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরের মত জনবহুল এলাকায় বাড়ি কলেজ স্ট্রিটের প্রিন্টিং ব্যবসায়ী কার্তিক কুণ্ডুর। রবিবার সন্ধায় বাড়িতে একা ছিলেন তাঁর স্ত্রী স্বপ্না কুণ্ডু।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলিংবেল বাজিয়ে বাড়িতে ঢোকা, গৃহকত্রীর সঙ্গে দু’একটা কথা। একেবারে সিনেমার কায়দায় দুঃসাহসিক ডাকাতি বাগুইআটিতে। গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে বাথরুমে আটকে রেখে লুঠতরাজ চালায় দুষ্কৃতীরা। দু হাত দূরে পাশের বাড়ি। জমজমাট এলাকা। রাস্তা দিয়ে অনবরত যান চলাচল করছে। তবু কেউ কিছুই বুঝতে পারেনি।
আরও পড়ুন: মহা বিপদে লকেট চট্টোপাধ্যায়
বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরের মত জনবহুল এলাকায় বাড়ি কলেজ স্ট্রিটের প্রিন্টিং ব্যবসায়ী কার্তিক কুণ্ডুর। রবিবার সন্ধায় বাড়িতে একা ছিলেন তাঁর স্ত্রী স্বপ্না কুণ্ডু। রবিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ বাড়িতে কলিং বেল বাজায় দুষ্কৃতীরা। দরজা খুলতেই জোর করে বাড়িতে ঢুকে পড়ে তিন দুষ্কৃতী। প্রত্যেকেই হেলমেট পড়ে ছিল। গৃহবধূ স্বপ্না কুণ্ডর গলায় ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠতরাজ শুরু করে। পরে দোতালায় নিয়ে গিয়ে বাথরুমে আটকে রেখে, প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। অথচ টের পায়নি পড়শিরা। দুষ্কৃতীর জনবহুল রাস্তা দিয়ে চম্পট দিলেও জানতে পারেনি কেউ। দুষ্কৃতীরা চলে গেলে স্বামী কার্তিক কুণ্ডুকে ফোন করে জানান স্বপ্না কুণ্ডু।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে ভাইরাল করলেন স্বামী!
খবর পেয়ে আসে বাগুইআটি থানার পুলিস। রাত্রে তদন্তে যায় বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। ভর সন্ধায় জনবহুল এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
তিন দুষ্কৃতী লুঠপাট চালাল, আবার সবার সামনে দিয়ে চম্পট দিল। বাগুইআটি ডাকাতির তদন্তে পুলিসকে ভাবাচ্ছে এই তথ্যগুলি। দুষ্কৃতীদের স্কেচ আঁকা হবে। দেখা হচ্ছে আদৌ ডাকাতি কী না কোনও পুরনো বিবাদের জের।