ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বিধাননগর

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বহু মানুষ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ সল্টলেকের ডেঙ্গি কবলিত এলাকায় যান স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। এগারো জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা জানতে সল্টলেক এবং সংলগ্ন এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলির থেকে রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

Updated By: Aug 9, 2012, 09:32 PM IST

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বহু মানুষ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ সল্টলেকের ডেঙ্গি কবলিত এলাকায় যান স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। এগারো জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা জানতে সল্টলেক এবং সংলগ্ন এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলির থেকে রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অসুস্থের সংখ্যা সবথেকে বেশি বিধাননগর পুরসভার 18,23, 24 এবং 25 ওয়ার্ডে। ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সুকান্ত নগর, ত্রিনাথপল্লি, দত্তাবাদ এলাকার বহু মানুষ। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে বর্তমানে চার জন ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিতসা চলছে। মশাবাহিত রোগে কাবু বহু মানুষ চিকিতসাধীন সল্টলেক এবং বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্য দফতরের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। হাসপাতালগুলিতে গিয়ে অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। মোট এগারো জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
সল্টলেকের ১৮, ২৩, ২৪ এবং ২৫ ওয়ার্ডে নির্মিয়মান বাড়ির সংখ্যা বেশি থাকাতেই বিপত্তি ঘটেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের। এই সব বাড়িতে জমে থাকা জলই ডেঙ্গির জীবানুবাহী মশার আতুড়ঘরে পরিনত হয়েছে। আর তাই সল্টলেক জুড়ে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত বলে তাঁদের অভিমত। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ বিধাননগর পুরসভা। এখনও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত তাঁরা। পুর-স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, আক্রান্তরা নাকি বিধাননগরের বাসিন্দাই নন। 
পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার থেকে সল্টলেক জুড়ে সচেতনামূলক প্রচার চালানো হবে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

.