দমদম পার্ক গুলিকাণ্ডে আটক বাবু ঘনিষ্ঠ শানু!

তদন্তে জানা গিয়েছে, ওড়িশার খুন্তকোতা আতাগড়ে একটি বাড়ি রয়েছে তাদের। সেখানে সে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান। রবিবারই ওড়িশায় গিয়েছে পাচ সদস্যের তদন্তকারী দল।

Updated By: Oct 29, 2018, 04:48 PM IST
দমদম পার্ক গুলিকাণ্ডে আটক বাবু ঘনিষ্ঠ শানু!
ডান দিকে অভিযুক্ত বাবু নায়েক

নিজস্ব প্রতিবেদন:  দমদম পার্ক গুলিকান্ডে মূল অভিযুক্ত বাবু নায়েকের দাদা রাজেশ জেলবন্দি। অভিযোগ জেল থেকেই এলাকায় তোলাবাজি, হুমকি সবই দাপিয়ে চালাচ্ছে রাজেশ। গুলিকান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিস। এর জন্য বিধাননগর আদালতে আবেদন জানাতে চলেছে পুলিস। এদিকে, এই ঘটনায় বাবু ও রাজেশের ঘনিষ্ঠ শানু নায়েককে আটক করেছে পুলিস। শানু তাদের হয়েই কাজ করত বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ প্রোমোটার শেখর পোদ্দারের কাছ থেকে শানু সম্পর্কে তথ্য পায় পুলিস।

এদিকে, এখনও খোঁজ নেই মূল অভিযুক্ত বাবু নায়েকের।  তদন্তে নেমে বাগুইআটি, কেষ্টপুর ও দমদম পার্কের হরিজন পল্লিতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। বাবু নায়েক ও তার আত্মীয়রা থাকে  এসব জায়গাতেই থাকে। যদিও কোথাও বাবুর কোনও খোঁজ মেলেনি।

আরও পড়ুন: শাড়ির আঁচল দেখতে পেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা, এগোতেই যে দৃশ্য চোখে পড়ল

তদন্তে জানা গিয়েছে, ওড়িশার খুন্তকোতা আতাগড়ে একটি বাড়ি রয়েছে তাদের। সেখানে সে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান। রবিবারই ওড়িশায় গিয়েছে পাচ সদস্যের তদন্তকারী দল।

 নায়েক বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু। লেকটাউন থানায় বাবু নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে গুলিবিদ্ধ প্রোমোটারের পার্টনার চিরদীপ রায়।  অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।

পুলিসের জালে বাবু ঘনিষ্ঠ শানু নায়েক

আরও পড়ুন: অনীক থেকে অ্যানি হয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন পুরনো বন্ধু সাগ্নিকের সঙ্গে! তারপর...

বাবু নায়েক পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। শনিবার সকাল এগারোটা নাগাদ দুই যুবক  বাইকে করে এসে দমদম পার্কের কাছে  দুই প্রোমোটারের নির্মীয়মান প্রজেক্টের কাছেই এসে টাকা চায়। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বন্দুক বের করে শেখর পোদ্দার নামে প্রোমোটারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।  এরপর দুই প্রোমোটারের থেকেই  নগদ টাকা, সোনার হার ছিনতাই করে চম্পট দেয় তারা।

গুলি চলার আওয়াজ শুনেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রোমোটারকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুটআউটের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শেখর পোদ্দার ও চিরদীপ রায় নামে দুই প্রোমোটার। বহুতলের নীচে দাঁড়িয়ে সেই সময় কথা বলছিলেন শেখর পোদ্দার ও চিরদীপ রায়। তখনই হামলার ঘটনাটি ঘটে।

 

.