বিজেপি বালাই! একুশের যুদ্ধের আগে অভিমানী সহযোদ্ধাদের ফিরে আসার বার্তা তৃণমূলের

রাজ্যে প্রবল গেরুয়া ঝড়ে জোরালো ধাক্কা খেয়েছে শাসক দল। ১৮টি আসন নিয়ে ২০২১ সালের সুর বেঁধে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। 

Updated By: May 27, 2019, 11:58 PM IST
বিজেপি বালাই! একুশের যুদ্ধের আগে অভিমানী সহযোদ্ধাদের ফিরে আসার বার্তা তৃণমূলের

কমলিকা সেনগুপ্ত

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর পুরনোদের অভিমান ভাঙিয়ে দলে ফেরাতে সচেষ্ট হল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন ফিরহাদ হাকিম। বর্তমান মেয়র জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন,''বামেদের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাই মিলে মমতা দিদির সঙ্গে লড়াই করেছিলাম। এবার সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বাংলা থেকে দূরে রাখতে হবে''।     

রাজ্যে প্রবল গেরুয়া ঝড়ে জোরালো ধাক্কা খেয়েছে শাসক দল। ১৮টি আসন নিয়ে ২০২১ সালের সুর বেঁধে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। হুঙ্কার দিয়েছেন, ১৯-এ হাফ, ২১-এ সাফ। ২০২১ সালের কথা মাথায় রেখে সংগঠনে একাধিক রদবদল করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে পুরনোদের অভিমান ভাঙিয়ে দলে ফেরাতেও তত্পর হল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার এককালের সহযোদ্ধা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন ফিরহাদ। তাঁকে আবার মাঠে নামার অনুরোধও করেন কলকাতার মেয়র। সে কথা স্বীকার করে ফিরহাদ জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন,''শোভনকে ফোন করেছিলাম। অনেকেই অভিমান করে বসে রয়েছেন। বলেছি, চল একসঙ্গে কাজ করি। সাম্প্রদায়িক দলকে দূরে রাখতে হবে। মমতার নেতৃত্ব লড়াই করব। বামেদের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম আমরা। এবার সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই। বাংলার মানুষকে বাঁচাতে হবে''। কিন্তু তাঁরা দূরে সরে গেলেন কেন? ফিরহাদের দাবি, কেউ সরেনি। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

গত বছর আগে মন্ত্রিত্ব ও মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল থেকে কার্যত দূরে সরে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বান্ধবীর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য রাজনৈতিক জীবন শেষ করলেন শোভনবাবু। লোকসভা ভোটের আগেও জল্পনা রটেছিল, শোভন চট্টোপাধ্যায় যাদবপুর বা ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন। যদিও তা হয়নি। সেই শোভনবাবুকেই দলে ফেরাতে তদ্বির করছে ঘাসফুল শিবির। 

আরও পড়ুন- নজিরবিহীন! ভোট থেকে শিক্ষা নিল না সরকার, নিন্দায় বিজেপির কর্মচারী সংগঠন

তৃণমূলের ভরাডুবির পর দলের অভ্যন্তরীণ ময়নাতদন্তে উঠে এসেছিল, নব্য নেতাদের দাপটে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন পুরনো নেতারা। সেই সুযোগে পুরনোদের দলে টানার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুরনো প্রাক্তন তৃণমূলীরাই এখন বিজেপির কান্ডারী। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২১ সালে কঠিন লড়াইয়ের আগে অভিজ্ঞ ও পুরনোদের ফিরিয়ে আনতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। শোভনকে ফোন করে পুরনোদের সেই বার্তাই দিল দল।  

.