কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার ছক! তৃণমূলের অনুষ্ঠানে বক্তা প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত
আগামী ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার উত্তম মঞ্চে হবে এই অনুষ্ঠান। অর্থ, স্বাস্থ্য এবং গনতন্ত্র ও বহুত্ববাদ - এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। মোদী সরকারের আর্থিক নীতি, নোটবন্দি সহ নানা ইস্যুর বিরোধিতায় ওপেন ফোরামে আলোচনায় অংশ নেবেন এই ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা
কমলিকা সেনগুপ্ত: কলকাতায় আসছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। কিন্তু তাঁকে এবার দেখা যাবে তৃণমূলের মঞ্চে। বরিষ্ঠ এই বিজেপি নেতাকেই বিজেপির বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে তত্পর তৃণমূল। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের " বাংলার ভাবনা" শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তৃতা রাখবেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
আগামী ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার উত্তম মঞ্চে হবে এই অনুষ্ঠান। অর্থ, স্বাস্থ্য এবং গনতন্ত্র ও বহুত্ববাদ - এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। মোদী সরকারের আর্থিক নীতি, নোটবন্দি সহ নানা ইস্যুর বিরোধিতায় ওপেন ফোরামে আলোচনায় অংশ নেবেন এই ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা। এই আলোচনায় এবং মঞ্চে সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যাবে তৃণমূল সংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে। উল্লেখ্য, যশবন্ত সিনহাকে বরাবরই মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে। নোটবন্দির পর বিজেপির বিরুদ্ধে আর্থিক নীতির বিরোধিতায় আরও বেশি সরব হয়েছেন যশবন্ত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রকের মন্ত্রীর তৃণমূল মঞ্চে আসায় নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনটা শোনাও যাচ্ছে ঝড়খণ্ড নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়তে পারেন তিনি। তৃণমূলের অন্দরে খবর, এ বার ঝড়খণ্ড নির্বাচনে জোর দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা হলে কি তৃণমূলের হয়ে ঝড়খণ্ডে ব্যাটিং করবেন যশবন্ত সিনহা? এমনটা জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল সরকারিভাবে কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন- আইনজীবী খুনে এখনও অস্পষ্ট মোটিভ!
তৃণমূলের এই মঞ্চে স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন নামী চিকিৎসকরা। গনততন্ত্র- বহুত্ববাদে বাংলার ভাবনা তুলে ধরবেন শীর্ষেন্দু মুখার্জী। জানা যাচ্ছে, ৪২ লোকসভা কেন্দ্রেই হবে এই ধরনের আলোচনা। দর্শকাসনে যারা থাকবেন তাদের সঙ্গে চলবে ভাবনার আদান প্রদান । আম জনতার থেকে যে পরামর্শ আসবে সেগুলো লিপিবদ্ধ রাখবে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- খুন হওয়ার আগে বাগুইআটির অন্তরা ১০ দিনে এক পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন ৯৭ বার!
শুধু মোদী সরকারের ভুল বা জন-বিরোধী নীতির বিরোধিতায় নয়, রাজ্যে তৃণমূল সরকারও কোনো বিষয়ে যদি ভুল করে থাকে, তা আম জনতার কাছে বলার সুযোগ থাকবে। সেই ভুল শুধরে কিভাবে আগামী দিনে আরও ভাল কিছু করা যায়, সেই পরিকল্পানাই করতে চাইছে তৃণমূল। এই আলোচনা থেকে উঠে আসা মূল বিষয়বস্তু জায়গা পাবে তৃণমূলের ইস্তেহারে।