রাজ্যে প্রথম, করোনা মুক্ত হয়ে চারবার প্লাজমা দান ফুয়াদ হালিমের

পরপর চারবার কনভালোসেন্ট প্লাজমা দান করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে। 

Updated By: Nov 20, 2020, 06:34 PM IST
রাজ্যে প্রথম, করোনা মুক্ত হয়ে চারবার প্লাজমা দান ফুয়াদ হালিমের

তন্ময় প্রামাণিক: রাজ্যে প্রথম, করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর কনভালোসেন্ট প্লাজমা দান করার ক্ষেত্রে নজির স্থাপন করলেন চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম। পরপর চারবার কনভালোসেন্ট প্লাজমা দান করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে। 

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে কনভালোসেন্ট প্লাজমা থেরাপি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে গোটা দেশজুড়ে। এ রাজ্যে সেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছিল কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের হাত ধরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। 

একদল চিকিৎসক গবেষক এই কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে গেলে রক্তের বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা ও শরীরের একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। শরীরে অ্যান্টিবডি মাত্রাও দেখা হয়। তা আইসিএমআর এর গাইডলাইন অনুযায়ী যথোপযুক্ত করে তখন সেই ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর অনেকেই প্লাজমা দান করার জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে প্লাজমা দেওয়ার জন্য আসেন করণা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার স্বার্থে।  

বিভাগীয় প্রধান প্রশ্ন ভট্টাচার্য বলেন, 'এটা একটা কর্তব্য। অনেকেই তা করছেন। অনেকেই একাধিকবার প্লাজমা দান করেছেন। কিন্তু পরপর একই ব্যক্তির চারবার কনভালোসেন্ট সমাধান করার ঘটনা এটাই প্রথম কলকাতায় এবং আমাদের রাজ্যে। এই উদাহরণ আমাদের চিকিৎসকদের এবং সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করবে। আমরা চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আরও মানুষ যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন তাঁরাও এগিয়ে আসুন প্লাজমা দান করতে।"

আরও পড়ুন:  বন্ধ রবীন্দ্র সরোবর লেক, 'ছট পুজোর অধিকার' নিয়ে সরব এলাকাবাসী

করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসা সঙ্কট শুরু হয়। মহামারীর আবহে সাধারণ চিকিৎসা পেতে কার্যত কালঘাম ছুটেছিল সকলের। ঠিক সে সময় শুধু কলকাতা শহর নয়, রাজ্যে গরিবের চিকিৎসক হিসেবে ফুয়াদ হালিমের নাম উঠে আসে। ফুয়াদের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক দিন-রাত এক করে। ৫০ টাকার ডায়ালাইসিস এবং চিকিৎসার জন্য তাঁদের ছোট প্রতিষ্ঠান খুলে রেখেছিলেন। ধনী, গরীব সব শ্রেণীর মানুষের জন্যই ছিল পরিষেবা। পরিষেবা দিতে দিতে
 তারই কিছুদিনের মধ্যে ফুয়াদ নিজেই আক্রান্ত হন করোনা সংক্রমণে। অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়েছিল। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কিছুদিন হল। ফের সুস্থ হয়ে ফেরেন ওই ৫০ টাকার ক্লিনিকে। 
কনভলসেন্ট প্লাজমা দানের ক্ষেত্রেও নজির তৈরি করলেন।

.