চাঞ্চল্যকর মোড়, হরিদেবপুর কাণ্ডে ভ্রুণের বদলে মিলল মেডিক্যাল বর্জ্য!
উদ্ধার হওয়া প্যাকেটের মধ্যে কোনও ভ্রুণের অস্তিত্ব নেই। এমনটাই জানাল সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশন, ডিসি নীলাঞ্জন বিশ্বাস। প্যাকেটগুলির মধ্য থেকে মিলেছে মেডিক্যাল বর্জ্য। এম আর বাঙুর হাসপাতালের চিকিত্সকরা এমনটাই জানিয়েছেন বলে জানা যায়। তবে, কিছুক্ষণ আগেই ডিসি নীলাঞ্জন বিশ্বাসই সাংবাদিক বৈঠক ভ্রুণের কথা জানান। প্রকাশ্যে পুলিসের এমন বয়ানে উঠছে প্রশ্ন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উদ্ধার হওয়া প্যাকেটের মধ্যে কোনও ভ্রুণের অস্তিত্ব নেই। এমনটাই জানাল সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশন, ডিসি নীলাঞ্জন বিশ্বাস। প্যাকেটগুলির মধ্য থেকে মিলেছে মেডিক্যাল বর্জ্য। এম আর বাঙুর হাসপাতালের চিকিত্সকরা এমনটাই জানিয়েছেন বলে জানা যায়। তবে, কিছুক্ষণ আগেই ডিসি নীলাঞ্জন বিশ্বাসই সাংবাদিক বৈঠক ভ্রুণের কথা জানান। পুলিসের এমন বয়ানে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
উল্লেখ্য, সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ হরিদেবপুরের রাজা রামমোহন রায় রোডের একটি নির্মীয়মাণ এলাকা থেকে ১৪টি ভ্রুণ পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিস। তাদের আরও দাবি, প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা প্যাকেটে পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে সদ্যোজাতের দেহাংশ অনুমান করা হলেও হরিদেবপুর থানার পুলিসই নিশ্চিত করে, উদ্ধার হওয়া প্যাকেটগুলিতে শিশুর ভ্রুণ রয়েছে। কিন্তু উঁচু পাঁচিল ঘেরা জমিতে কীভাবে একসঙ্গে এত কটা ভ্রুণ এল, তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন।
প্রায় ২২ কাঠা জমির একাংশে তৈরি হচ্ছে নির্মাণ। পাঁচিলে ঘেরা জমির বাকি জায়গা জঙ্গলে ভর্তি। রবিবার সকালে জঙ্গল পরিষ্কার করতে শুরু করে প্রোমোটারের কর্মীরা। জানা যায় বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বেশ কিছু প্যাকেটের খোঁজ পান তাঁরা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় হরিদেবপুর এলাকায়। মনে করা হয়, প্যাকেটগুলির মধ্যে শিশুর ভ্রুণ রয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। স্থানীয় কাউন্সিলরকেও খবর দেওয়া হয়। এর পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন খোদ কলকাতা মেয়র, স্থানীয় বিধায়ক এবং পুলিস কমিশনার।
সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশন, ডিসি নীলাঞ্জন বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, ওই প্যাকেট গুলিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে খোদ ডিসি নীলাঞ্জন বিশ্বাস ভ্রুণের কথা জানিয়ে বলেন এগুলি বাইরে থেকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। তাঁর কথায়, এক সঙ্গে এইগুলিকে ফেলা হয়নি। একে একে বিভিন্ন সময় এই জায়গায় ছুড়ে ফেলা হয় প্যাকেটগুলি। ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী সব নার্সিংহোমে পুলিসি অভিযান চালায়। জমির মালিক এবং কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।