পণের দাবিতে গৃহবধূকে ‘পুড়িয়ে খুন’, ধৃত স্বামী-শ্বশুর
নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্ঘটনা হিসেবে চালনোর চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হল না। গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা বেরিয়ে এল তাঁর শিশুপুত্রের বয়ানে। কলকাতার ফুলবাগানের ঘটনা। শিশুপুত্রের বয়ান অনুযায়ী গ্রেফতার গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর।
ফুলবাগানের কাদাপাড়ায় কেএমসির আবাসনের তিনতলায় থাকতেন গৃহবধূ পিঙ্কি মল্লিক, স্বামী সাজান মল্লিক ও তার স্বামী-শ্বশুর। গত ৩১ অক্টোবর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পিঙ্কির। তাঁর পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সাজান মল্লিক ও তার বাবা-মার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পণের দাবিতে বহুদিন ধরে চাপ দেওয়া হত পিঙ্কির উপরে।
পিঙ্কির পরিবারের অভিযোগে ৩১ অক্টোবর শেষবারের মতো বেগুসরাইয়ের বাড়িতে ফোন করেন পিঙ্কি। বলেন, ১ লাখ টাকা না দিলে তাঁকে খুন করে ফেলা হবে। সেই রাতেই খবর যায় আগুনে পুড়ে মারা গেছেন পিঙ্কি।
আরও পড়ুন-দেওয়াল উঠছে মুকুল-শুভ্রাংশুর মধ্যে
পিঙ্কির ভাইয়ের অভিযোগ, ওরা বোনকে পুড়িয়ে মেরেছে। ২০১১-য় পিঙ্কির সঙ্গে কাদাপাড়ার সাজন মল্লিকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টাকার দাবিতে অত্যাচার শুরু হয়। উল্লেখ্য, পিঙ্কির দেহ ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে বলা হয় রান্না করতে গিয়ে পুড়ে গিয়েছেন পিঙ্কি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে গভীর রাতে কেন রান্নাঘরে গিয়েছিলেন পিঙ্কি।
এদিকে, পিঙ্কির শিশুপুত্রের বয়ান অনুযায়ী তার বাবা-ই দেশলাই জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়েছিল। তার বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে সাজান মল্লিক ও তার বাবা রাজকুমার মল্লিককে।