কীভাবে হাওয়ালা ডিলে জড়িত টলিউড কাঁপানো অভিনেত্রী? CBI-এর হাতে সব প্রামাণ্য নথি

অ্যাকশন-গ্ল্যামার-পলিটিক্স। রোজভ্যালি তদন্তের পরতে পরতে ড্রামা। দুই সাংসদের পর এবার CBI-আতসকাচে টলিউড কাঁপানো এক অভিনেত্রী। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রোজভ্যালি কর্তার  ৩০০ কোটি টাকার হাওয়ালা ডিলে জড়িত এই নায়িকা। বিভিন্ন সময়ে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে বিদেশ সফরেও গিয়েছেন। শিগগিরিই অভিনেত্রীকে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।

Updated By: Jan 4, 2017, 05:01 PM IST
কীভাবে হাওয়ালা ডিলে জড়িত টলিউড কাঁপানো অভিনেত্রী? CBI-এর হাতে সব প্রামাণ্য নথি

ওয়েব ডেস্ক : অ্যাকশন-গ্ল্যামার-পলিটিক্স। রোজভ্যালি তদন্তের পরতে পরতে ড্রামা। দুই সাংসদের পর এবার CBI-আতসকাচে টলিউড কাঁপানো এক অভিনেত্রী। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রোজভ্যালি কর্তার  ৩০০ কোটি টাকার হাওয়ালা ডিলে জড়িত এই নায়িকা। বিভিন্ন সময়ে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে বিদেশ সফরেও গিয়েছেন। শিগগিরিই অভিনেত্রীকে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।

কীভাবে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার?
গৌতম কুণ্ডু ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রীর এক আত্মীয় সিঙ্গাপুরের নাগরিক-অনাবাসী ভারতীয়। তাঁর মূল ব্যবসা রুগ্ন সংস্থাকে চাঙ্গা করতে মূলধন জোগাড় করে দেওয়া। টলিউডের নায়িকার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ গৌতম কুণ্ডুর। CBI আধিকারিকরা বলছেন, ২০১১-য় রুগ্ন সংস্থার ফান্ডিংয়ের নামে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে ৩০০ কোটি টাকার চুক্তি হয় সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীর। সেখানে  আগাগোড়া হাজির ছিলেন এই নায়িকা।

CBI-এর  হাতে থাকা তথ্য বলছে, চুক্তির কয়েকদিনের মধ্যেই ৬৩ কোটি টাকা গৌতম কুণ্ডুর সিঙ্গাপুর নিবাসী কর্মীর মাধ্যমে ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়।  কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী ও গৌতম কুণ্ডুর মধ্যে হওয়া চুক্তি আদতে আই-ওয়াশ। গৌতম কুণ্ডুর আসল উদ্দেশ্য ছিল, ৩০০ কোটি কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশ পাঠিয়ে FDI হিসাবে দেশে ফেরানো। গোটা চুক্তির মূল মধ্যস্থতাকারী ছিলেন টলিউডের এই অভিনেত্রী।

শুধু হাওয়ালা ডিল নয়। CBI-এর দাবি, বিভিন্ন সময়ে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও USA বেড়াতে গেছেন নায়িকা। সেই ট্যুর আগাগোড়া স্পনসর করেছে রোজভ্যালি।

রোজভ্যালির ফিল্ম রাইটস কেনার ক্ষেত্রেও মধ্যস্থতা করেন অভিনেত্রী। রোজভ্যালির ব্যানারে মুক্তি পাওয়া দুটি ছবির প্রযোজনা শুরু করে ছোট দুটি সংস্থা। কিন্তু, আর্থিক কারণে তারা ছবি শেষ করতে পারেনি। পরে বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে  ছবিদুটির  স্বত্ত্ব কিনে নেয় রোজভ্যালি। CBI-এর দাবি, সেই চুক্তির মধ্যস্থতাতেও বড় ভূমিকা ছিল টলিউড নায়িকার। সবকটি ক্ষেত্রেই মধ্যস্থতা করার জন্য মোটা টাকা পান অভিনেত্রী। রোজভ্যালির একাধিক লেজার ও অ্যাকাউন্ট বুক থেকে তার প্রমাণও মিলেছে।

এসব তথ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই গৌতম কুণ্ডু ও আগেই হেফাজতে থাকা কোম্পানির ডিরেক্টরদের জেরা সেরে ফেলেছে CBI । অভিনেত্রীর সঙ্গে গৌতম কুণ্ডুর পরিচয়ের পিছনে তাঁর অবদানের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তাপস পালও। তাই, সব  তথ্য যাচাই করতে এবার টলিউড এই অভিনেত্রীকেই জেরা করতে চান CBI আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন, দুই সাংসদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ, CBI-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন নয়না

.