সেন্ট জেভিয়ার্সের রাজারহাট ক্যাম্পাসের সাহায্যে এগিয়ে এলেন লক্ষ্মী মিত্তল সহ অন্য প্রাক্তনীরা

Updated By: Oct 28, 2014, 11:49 AM IST
সেন্ট জেভিয়ার্সের রাজারহাট ক্যাম্পাসের সাহায্যে এগিয়ে এলেন লক্ষ্মী মিত্তল সহ অন্য প্রাক্তনীরা

কলেজ থেকে পাস আউট হলেই কি ক্যাম্পাসের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ? শুধুমাত্র প্রাক্তনী সংসদে নাম লিখিয়ে রাখলেই কি পুরনো কলেজের সঙ্গে আজীবন জুড়ে থাকা যায়?  সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড এই সব প্রশ্ন নতুন করে ভাবাচ্ছে।

কলেজের কলেবর বৃদ্ধিতে নজিরবিহীন ভূমিকা নিচ্ছেন সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনীরা। পুরনো পড়ুয়াদের দিকে তাকিয়ে শত পুষ্পে বিকশিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে ঐতিহ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কখনও ইতিহাস প্রতিষ্ঠান তৈরি করে। আবার কখনও প্রতিষ্ঠান ইতিহাস তৈরি করে। সেন্ট জেভিয়ার্স হল এমনই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশেষ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তার জন্ম। দেড়শো বছরের বেশি সময় ধরে অসংখ্য কৃতী ছাত্রছাত্রী গড়ে তুলেছে সে।

সময়ের দাবি মেনে কলেজের কলেবর বাড়ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্টের মতন বিষয় পড়াতে রাজারহাটে আধুনিক ক্যাম্পাস গড়ে তুলছে সেন্ট জেভিয়ার্স। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ন্যূনতম মূল্যে জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। জমি তো না হয় হল। কিন্তু বাকিটা? তার জন্যও তো প্রচুর অর্থের দরকার। সেই অর্থ জোগাড়ের কাজে এগিয়ে এসেছেন কলেজের প্রাক্তনীরা। সেন্ট জেভিয়ার্স সেন্টার অফ এক্সেলেন্স। দেশের পাশাপাশি বিদেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন জেভিয়ার্সের কৃতীরা। আজ এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনে সেই সব পুরনো ছাত্রছাত্রীদের কাছেই গুরুদক্ষিণা চাইছেন শিক্ষকরা।

প্রাক্তনীদের তরফে যে সাড়া মিলেছে, তা নিঃসন্দেহে এক অনুপ্রেরণা। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত জেভিয়ার্সের গ্লোবাল কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত অসি ক্রিকেটার মার্ক ওয়া। এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে তিনি দারুণ খুশি। অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তল জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী। এখন লন্ডনে থাকেন। ইতিমধ্যেই রাজারহাট ক্যাম্পাসের জন্য এগিয়ে এসেছেন তিনি।

কলেজের জন্য প্রাক্তনীদের এই আবেগ দেখে তৃপ্ত টিচাররা।  মানুষ গড়ার ব্রত নিয়ে কাজ করে চলেছেন। যে প্রতিষ্ঠান পড়ুয়াদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে, আজ সেই সব পড়ুয়াদের সাহায্যেই মাথা তুলবে নতুন ক্যাম্পাস। এমন দিন দেখা গর্বের তো বটেই।   

 

.