এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন দুর্নীতিতে নাম জড়াল রাজ্য বিজেপির, অভিযুক্ত প্রথম সারির নেতারা
এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন দুর্নীতির মূলচক্রী হিসেবে নাম উঠে এসেছে রঞ্জিত মজুমদারের।
অঞ্জন রায়
টাকা দিলেই মিলবে এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরশিপ! এই টোপ ফেলেই না কি কর্মীদের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছেন দলের নেতারা। রাজ্য এবং জেলা স্তরের বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে উঠল এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায় বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর। তদন্তে নেমে লালবাজার জানতে পেরেছে, এই দুর্নীতিতে সামিল রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির আরও নেতা। এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন দুর্নীতির মূলচক্রী হিসেবে নাম উঠে এসেছে রঞ্জিত মজুমদারেরও।
আরও পড়ুন- রাজ্যে বিজেপি ঘুমিয়ে আছে! কড়া ভর্ত্সনা কৈলাসের
বিজেপির কলকাতার এই নেতাই না কি গোটা রাজ্যে টাকা তোলা এবং তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। সোমবার তাঁকে লালবাজারে ডেকে জেরাও করে তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, আগামী শনিবারও তাঁকে জেরা করা হবে।
আরও পড়ুন-‘বিজেপি-কে বধিবে যে, বঙ্গে বাড়িছে সে’
সূত্রের খবর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার রান্নার গ্যাসের ডিসট্রিবিউটরশিপ ঘোষণার পরই না কি রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের থেকে টাকা তুলতে শুরু করেন এই নেতা। তৈরি হয় একটি তালিকাও। কারা এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাবেন, আর তার জন্য কার কাছে কত টাকা দিতে হবে – এসবই লেখা ছিল এই তালিকায়। উল্লেখ্য, এই তথ্য প্রথম জি ২৪ ঘণ্টার আসে হাতে। ফেনের কথোপকথনের রেকর্ডিংয়ে শোনা যায় কীভাবে দর দস্তুর হচ্ছে বিজেপি নেতাদের মধ্যে। এর পর এই ঘটনায় আরও তথ্য জোগাড় করতে শুরু করে জি ২৪ ঘণ্টা। একই সঙ্গে তদন্ত শুরু করে লালবাজারও।
ওয়াকিফহাল মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে যেখানে বঙ্গে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির, সেখানে এমন একটা দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়েছে তাঁদের। এতে বিজেপি সম্পর্কে মানুষের ভাবমূর্তিও নষ্ট হবে বলে আশাঙ্কা করছে দলের নেতারাই।