নেশার জগতে 'ম্যাজিক মাশরুম' ঘুম কেড়েছে শহরবাসীর, ফাঁস আন্তর্জাতিক মাদক চক্র

মূলত দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় জন্মায় এই মাদক ছত্রাক। তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ম্যাজিক মাশরুমের চাহিদা বাড়ার পিছনে রয়েছে মূলত দুটি কারণ।

Updated By: Mar 4, 2018, 02:30 PM IST
নেশার জগতে 'ম্যাজিক মাশরুম' ঘুম কেড়েছে শহরবাসীর, ফাঁস আন্তর্জাতিক মাদক চক্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতার পার্টি সার্কিটে নেশার তালিকায় এবার নয়া সংযোজন ম্যাজিক মাশরুম। শনিবার রাতে কলকাতার অভিজাত এলগিন রোড ও আলিপুর এলাকায় তল্লাসি চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে এমডিএমএ, এলএসডি ও এক্সট্যাসির পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ম্যাজিক মাশরুমও। মেটামেমফাটাইন ক্যটেগরির এই শহরের কলেজ পড়ুয়াদের নেশার তালিকায় নয়া সংযোজন বলেই দাবি পুলিসের।

পুলিস জানিয়েছে, ধৃত তিনজনের মধ্যে বিবেক শর্মা ও তাঁর ভাই ঋষভ শর্মা দুজনেই এমবিএ পড়ুয়া। অপরজন অভিজাত পরিবারের ছেলে দীপ পার্টটাইমে ডিস্ক জকির কাজ করে থাকে। ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, উদ্ধার হওয়া এমডিএমএ ট্যাবলেটগুলি তারা নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি করেছিল। তবে এই ম্যাজিক মাশরুম ধৃতরা কোথা থেকে জোগাড় করে, জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

আরও পড়ুন, বেহালায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল বাড়ির ছাদ, জখম ৬

নেশাড়ুদের কাছে এলএসডি-র থেকেও বেশি জনপ্রিয় এই ম্যাজিক মাশরুম। তবে ভারতে এর ব্যবহার খুবই কম। মূলত দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় জন্মায় এই মাদক ছত্রাক। ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেই এর প্রচলন বেশি। এই প্রথমবার কলকাতা বা পূর্ব ভারতে ম্যাজিক মাশরুমের হদিশ পেলেন গোয়েন্দারা। যদিও জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই শহরের পার্টি সার্কিটে ও কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে অন্যান্য নেশার সামগ্রীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছে এই ম্যাজিক মাশরুম।

ধৃত দীপ জেরায় জানিয়েছে, তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ম্যাজিক মাশরুমের চাহিদা বাড়ার পিছনে রয়েছে মূলত দুটি কারণ। প্রথমত ট্র্যাডিশনাল ড্রাগের থেকে অনেকটাই আলাদা এই ম্যাজিক মাশরুম । যারফলে এই মাদক ছত্রাক কেনাবেচার ক্ষেত্রে ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেক কম। দ্বিতীয়ত, সাইকোট্রপিক ড্রাগের থেকেও এর নেশার মাত্রা অনেকাংশে বেশি। পাশাপাশি সে আরও বলে, ইদানিংকালে দক্ষিণ ভারতে কোদাইকানাল ও উটিতেও পরীক্ষামূলকভাবে ম্যাজিক মাশররুমের চাষ শুরু করেছে মাদক কারবারিরা।

আরও পড়ুন, দুর্ঘটনার পরই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল বাইক, মৃত্যু ৩ আরোহীর

প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দাদের অনুমান, আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই চক্রটির। কারণ ধৃতদের হোয়াটসঅ্যাপ ও স্ন্যাপচ্যাটের কথোপকথন থেকে এধরনের বেশকিছু সন্দেহভাজন যোগাযোগ পাওয়া গেছে। মূলত ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে বিটকয়েনের বিনিময়েই এই চক্রটি মাদকের কারবার করত বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

.