Exclusive: সংগঠনের ফাঁক দেখালেন মুকুল, নেতাদের মন ভাঙলেন কৈলাস

লোকসভা ভোটে টিকিট পাবেন না দলের পদাধিকারীরা, জানালেন কৈলাস। 

Updated By: Dec 20, 2018, 08:33 PM IST
Exclusive: সংগঠনের ফাঁক দেখালেন মুকুল, নেতাদের মন ভাঙলেন কৈলাস

অঞ্জন রায়

লোকসভা ভোটের আর কটা মাস বাকি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২২টি আসন জেতার টার্গেট করেছে বিজেপি। কিন্তু সেই লক্ষ্যে কি এই সংগঠন নিয়ে পৌঁছনো সম্ভব? বিজেপিতে আসার পর একবছরে কি তেমনই অভিজ্ঞতা হল মুকুল রায়ের? জাতীয় গ্রন্থাগারে বৃহস্পতিবার বিজেপির কার্যকারিণী সভায় মুকুল রায় বলেন, সংগঠনে একাধিক পদ রয়েছে। কিন্তু কারও দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট নয়। তবে বোমা ফাটালেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। জানিয়ে দিলেন, লোকসভা ভোটে টিকিট পাবেন না দলের পদাধিকারীরা। 

রথযাত্রায় অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে এদিন বিজেপির অন্দরে ফুরফুরে হাওয়া। এমন প্রেক্ষাপটেই কৈলাসের ঘোষণায় মন ভাঙল বিজেপির বেশ কয়েকজন টিকিট প্রত্যাশী নেতার। ২০১৯ সালে টিকিট মিলতে পারে বলে আশায় বুক বাঁধছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। জাতীয় গ্রন্থাগারে বিজেপির কার্যকারিণী সভায় কৈলাস বলেন,''দলের পদাধিকারী ও জেলা সভাপতিরা লোকসভায় টিকিট পাবেন না। ভাল ফল করলে ২০২১ সালে বিধানসভায় তাঁদের প্রার্থী করা হবে''। কৈলাসের এহেন ঘোষণার অনেকেরই মুখ শুকিয়ে যায়। 

গতবছর নভেম্বরের শুরুতেই বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন একদা তৃণমূলের চাণক্য মুকুল রায়। মুকুলকে সামনে রেখে দলের সংগঠন পোক্ত করার ভাবনায় তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই মুকুল রায়ই লোকসভায় রাজ্যের দায়িত্ব পেয়েছেন। একবছরে বিজেপির সংগঠন দেখার পর মুকুলের অভিজ্ঞতালব্ধ মত,''দলের বিস্তর পদ রয়েছে। পালক, বিস্তারক, সাধারণ সম্পাদকরা জানেন না কার কী কাজ? এভাবে ভোটে লড়াই করা যায় না। সকলের কাজ নির্দিষ্ট করে বুঝিয়ে হোক''।                

তিনটি রাজ্যে হার ও রথযাত্রা নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার জেরে কর্মীদের মনোবলে যে চিড় ধরেছে তাও মেনে নিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ''তিনটি রাজ্যে বিজেপির হার ও রথযাত্রা না হওয়ায় অনেকেই হতাশ''। এরপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশ্বাস, ''হতাশার জায়গা নেই। ময়দানে নেমে পড়ুন। লোকসভায় চমকে দেওয়ার মতো ফল হবে''। 

লোকসভা ভোটের আগে দিলীপ-মুকুলদের গলার সুর যেভাবে খাদে গিয়েছে নামছে, তাতে কি বরাভয় পেলেন নেতা-কর্মীরা? ঘটনা হল, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, নেতারা তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। এমনকি অমিত শাহ সময় বেঁধে দেওয়ার পরও সব জায়গায় বুথ কমিটি গঠন করতেই পারেনি বঙ্গ বিজেপি। তার উপরে পদাধিকারীরা টিকিট না পেলে কি বিদ্রোহ হবে না? উঠছে প্রশ্ন। ফলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ২২টি আসন কি আষাঢ়ে গল্প হতে চলেছে? 

আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতিবেগে দৌড়চ্ছিল ট্রেন-১৮, উড়ে এল পাথর, তারপর...

.