হাতের অপারেশন করতেই একের পর এক বেরিয়ে এল ‘আসল’ জিনিস!

 গ্রামের হাতুড়ের চিকিত্সা। হাতের মধ্যেই জমে গিয়েছিল স্যালাইনের সূচ। একটা দুটো নয়। ষোল খানা। এরপর ম্যারাথন অস্ত্রোপচার। বের হল সূচ। অসাধ্য সাধন করলেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সকেরা। 

Updated By: Jan 28, 2018, 07:23 PM IST
হাতের অপারেশন করতেই একের পর এক বেরিয়ে এল ‘আসল’ জিনিস!

নিজস্ব প্রতিবেদন:  গ্রামের হাতুড়ের চিকিত্সা। হাতের মধ্যেই জমে গিয়েছিল স্যালাইনের সূচ। একটা দুটো নয়। ষোল খানা। এরপর ম্যারাথন অস্ত্রোপচার। বের হল সূচ। অসাধ্য সাধন করলেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সকেরা। 

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন অধীর! জল্পনা তুঙ্গে

কয়েক বছর ধরে স্নায়ুর জটিল অসুখ। মাঝে মধ্যে চেতনা হারান। আর সে সময়ই স্যালাইন দিতে হয় ক্ষীরপাইয়ের মৌমিতা ঘোষকে। এরপরই তাঁর চেতনা ফিরে আসে। এই রোগীর দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন এক হাতুড়ে চিকিত্সক। স্যালাইন দিতে হাতে চ্যানেল তৈরির কাজটি করতেন তিনি। কিন্তু তাঁর অসাবধানতাতেই ডান হাত বাঁ হাত মিলিয়ে মোট ষোলটি সূচ জমে যায় মহিলার হাতে। প্রথম প্রথম কিছুই হয়নি। পরে মহিলার হাতে যন্ত্রণা শুরু হয়। 

আরও পড়ুন:  দেওরের যৌন হেনস্থা, সঙ্গে পণের দাবি, গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

মাস দুয়েক আগে সমস্যা বাড়তেই মৌমিতাকে আনা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। সেখানে এক্স রে ধরা পড়ে বিষয়টি। এরপর কলকাতা মেডিক্যালের সার্জারি বিভাগ। সেখানে দশ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাঁকে। সুযোগ বুঝে করা হয় অস্ত্রোপচার। ব্যাস তাতেই সাফল্য। মৌমিতার পরিবার খুশি। অসাধ্য সাধন করতে পেরে খুশি ডাক্তাররাও। খুব দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারবেন মৌমিতা। জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা।

.