রাজ্যে বেড়েছে উচ্চশিক্ষার মান
পশ্চিমবঙ্গে যেমন স্কুল শিক্ষার অগ্রগতি ঘটেছে তেমনই বেড়েছে উচ্চশিক্ষার মানও। বেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা, তৈরি হয়েছে নতুন কলেজ। ২০০৭ থেকে ২০১১ সালে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১৩টি। বর্তমানে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮
ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে যেমন স্কুল শিক্ষার অগ্রগতি ঘটেছে তেমনই বেড়েছে উচ্চশিক্ষার মানও। বেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা, তৈরি হয়েছে নতুন কলেজ। ২০০৭ থেকে ২০১১ সালে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১৩টি। বর্তমানে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮। জলপাইগুড়িতে তৈরি হয়েছে রাজ্যের প্রথম হিন্দি কলেজ। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে ৪৬টী নতুন কলেজ। প্রথমবার সাঁওতালি ভাষাকে রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা স্টেট এলজিবিলিটি টেস্টের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সাঁওতালি ভাষাকে। রাজ্যে বেড়েছে কলেজের সংখ্যাও য়াগে যা ছিল ৪৮৫ বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩০টিতে। এসবের ফলে বেড়েছে রাজ্যের 'গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও'।
উচ্চশিক্ষার যেমন মানোন্নয়ন করা হয়েছে তেমনই সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে ওবিসি ছাত্র-ছাত্রীদের। তাদের জন্যা রাখা হয়েছে ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ। এর ফলে রাজ্যের কলেজগুলিতে বাড়ছে ওবিসি ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য দরকার হয় ফান্ডের। ফলে রাজ্য সরকারের বার্ষিক খরচের পরিমাণও বেড়েছে। যা আগে ছিল ১১১.৭৪ কোটি বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৪২১.৮৩ কোটিতে। শিক্ষার মানের উন্নতি হওয়ার ফলে অনেক শূণ্যপদ ভর্তি হয়েছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে পড়ানোর মানও।
মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছে বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭০ কোটি টাকার স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। আর এই স্কলারশিপ থেকে উপকৃত হয়েছেপ্রায় ১.৭৮ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী। উচ্চশিক্ষের ক্ষেত্রে সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হলো অন লাইন অ্যাডমিশন। এবার থেক অন লাইনেই কলেজে ভর্তির আবেদন করা যাবে।