দলনেত্রীর পরামর্শে ওজন কমিয়ে 'স্লিম ট্রিম' হচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
নববর্ষে ওজন কমানোর পণ নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। কঠোর ডায়েটিংয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কমলিকা সেনগুপ্ত
নতুন বছরে গড়পড়তা সব বাঙালিরই নিউইয়ারে রেজোলিউশনেই থাকে মেদ ঝরানো। ২০১৮ সালে নিজেকে 'স্লিম ট্রিম' করার পণ নিয়েছেন তৃণমূলের 'ওজনদার' নেতা। তবে নববর্ষ আসার অপেক্ষা করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কৃচ্ছসাধন। কঠোর ডায়েটিংয়ে নিজেকে বেঁধে ফেলেছেন পার্থবাবু।
সকালে নিয়মিত ট্রেডমিলে ছোটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলেও হাঁটা মাস্ট। খাবারও খান পরিমিত। তৃণমূল নেত্রীর হাঁটার গতির সঙ্গে তালমেলাতে হিমশিম খান তাঁর নিরাপত্তা আধিকারিকরাও। দলনেত্রীর পরামর্শ পাথেয় করেই বপুর ভার লাঘবে নেমে পড়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
কী থাকছে ডায়েটিংয়ে?
কার্বস এড়াতে ভাত খাওয়া ছেড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সকালে চা-পাউরুটি দিয়ে প্রাতরাশ সারছেন। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজনে থাকছে ফল ও নানারকম সবজির তরকারি। বিকেলে খাচ্ছেন মুড়ি। আর নৈশভোজে শুধু তরকারি। ভাতের সঙ্গে মাছও ছেড়েছেন। তার সঙ্গে হালকা শরীরচর্চাও রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, ''আগের চেয়ে একটু হালকা লাগছে। নতুন বছরে মেদ একেবারে ঝরে যাবে।'' উল্লেখ্য, হেঁটে ১২ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- উলুবেড়িয়া উপনির্বাচনে বিজেপির 'সম্ভাব্য প্রার্থী'কেই দলে টেনে মুকুলকে ধাক্কা দিল তৃণমূল
আরএসএস-এ থাকাকালীন ডাম্বেল ভাঁজতেন নরেন্দ্র মোদী। এই বয়সে নিয়মিত যোগ করেন। নয়া প্রযুক্তির শরীরচর্চাও করেন তিনি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু তো নিয়মিত জিমে ওয়েট ট্রেনিং করেন। সেই ছবি টুইটারে আপলোড করেন। ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংও নিজেকে ফিট রাখতে জিমে যান।অস্ত্রোপচার করে সম্প্রতি ওজন কমিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
শত ব্যস্ততার মধ্যে রাজনৈতিক নেতারাও যদি শরীর গঠনে মন দিতে পারেন, তাহলে আপনিও পারবেন। নতুন বছরেই নেমে পড়ুন শরীরচর্চায়।